অতিমারি করোনার হাত থেকে বাঁচতে কোভ্যাকসিন ও কোভিশিল্ড নামক এই দুটি ভ্যাকসিন নিতে কার্যত হিড়িক পড়েছিল স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিতে। শরীরে যাতে কোনওভাবেই করোনার জীবাণু থাবা বসাতে না পারে তাই করোনা টিকার পরপর দুটো ডোজই নিয়েছিলেন দেশবাসী। কিন্তু করোনার সেই টিকা কি আদৌ নিরাপদ ছিল, উঠে গেল প্রশ্ন। অভিযোগ উঠেছে কোভিশিল্ড ভ্যাকসিনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নিয়ে। এবার কোভিশিল্ডের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সম্বন্ধে দাবি করলেন অভিনেতা শ্রেয়াস তালপারে। লেহরেন রোট্রোর সঙ্গে কথোপকথনের সময় তিনি তাঁর অভিজ্ঞতা শেয়ার করে জানিয়েছেন, ভ্যাকসিন নেওয়ার পর তিনি তাঁর শরীরের খবুই যত্ন নিয়েছেন। কোনও প্রকার তামাকজাত দ্রব্য, ধূমপান এবং মদ্যপান থেকে যথেষ্ট দূরেই থাকেন। মদ্যপান করলে হয়তো মাসে তিনি একবার করেন বলেও জানিয়েছেন তিনি। শারীরিক অসুস্থতা বলতে কোলেস্টেরল একটু বেশি। যা স্বাভাবিক রাখার কথা জানিয়ে ছিলেন চিকিৎসক। কোলেস্টেরলের জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ মত ওষুধও খাচ্ছেন তিনি। কিন্তু তা সত্বেও তাঁর হার্টঅ্যাটাক হয়ে কীভাবে। গত বছরের ১৪ ই ডিসেম্বর মাসে মুম্বাইতে ওয়েলকাম টু দ্যা জঙ্গল ছবির শ্যুটিং চলাকালীন হঠাৎই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন অভিনেতা। তড়িঘড়ি তাঁকে মুম্বাইয়ের বেলভিউ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালে তাঁকে এনজিওপ্লাস্টিও করেন চিকিৎসকরা। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে অভিনেতা জানান, কোভিটের টিকা নেওয়ার পর থেকেই তিনি কান্তভাব অনুভব করেন। তাঁর এই হার্টঅ্যাটাক কোভিশিল্ডের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া বলেই একপ্রকার দাবি করেন শ্রেয়াসের। এছাড়াও অভিনেতা এও বলেন, আমরা সত্যি জানি না, সংস্থাগুলিকে বিশ্বাস করে করোনা ভ্যাকসিনের নামে আমরা শরীরের মধ্যে কি নিয়েছেন। অতিমারির আগে আমি এমন ঘটনার কথা শুনিনি।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালের এপ্রিলে টিকা প্রস্তুতকারী সংস্থা অ্যাস্ট্রোজেনেকার ভ্যাকসিন ‘কোভিশিল্ড’ নেন ব্রিটেনের এক মহিলা। ভ্যাকসিন নেওয়ার পর থেকেই ওই মহিলা স্নায়ু রোগের শিকার হয়। এমনকি তাঁর মস্তিস্কে রক্ত জমাট বাঁধতেও শুরু করে বলে অভিযোগ। এই ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারক সংস্থার বিরুদ্ধে ৫০ টি মামলা রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে এই সংস্থা দাবি করেছিল, তাঁদের তৈরি ভ্যাকসিনে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হচ্ছে, তা তারা বিশ্বাস করেন না। কিন্তু, সম্প্রতি ব্রিটেনের এক কোর্টে অ্যাস্ট্রোজেনেকা জানিয়েছে, খুব বিরল হলেও তাদের ভ্যাকসিনে TTS হতে পারে। এই বিরল সিনড্রম হলে রক্ত জমাট বেঁধে যায় এবং রক্তের প্লেটলেটও কমে যায়।
সূত্রের খবর, ঘটনার দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের পর অবশেষে অক্সফোর্ট-অ্যাস্ট্রোজেনেকা স্বীকার করে তাদের তৈরি কোভিশিল্ডের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার কথা। তবে আদালতে অ্যাস্ট্রোজেনেকা দাবি করেছে, এই ভ্যাকসিন না নিলেও কোনও ব্যক্তির থ্রম্বোসাইটোপেনিয়া সিন্ড়্রোম হতে পারে। তবে ভ্যাকসিন নেওয়ার পরেই এই সিন্ড়্রোম শুরু হচ্ছে কিনা, এটাও বলা ঠিক নয়। পাশাপাশি, আদালতকে ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারক সংস্থা জানিয়েছে, অতিমারি করোনাকে রুখতে এই ভ্যাকসিন ভীষণ কার্যকারি। কোভিশিল্ড ভ্যাকসিনের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া খুবই বিরল। ভ্যাকসিন বিভিন্ন রকমভাবে ট্রায়াল করা হয়েছে। ছাড়পত্র পাওয়ার পর, তবেই দেশবাসীকে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে।
আহমেদাবাদের ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনায় গোটা দেশ শোকস্তব্ধ, এই দুর্ঘটনার ভয়াবহতা দেখে শিউরে উঠেছে বিশ্ব। ঠিক এই পরিস্থিতিতেই এই দুর্ঘটনা কে...
Read more
Discussion about this post