আজ ১ মে। বিশ্ব শ্রমিক দিবস। সারা দেশ জুড়ে ছুটির কাটাবে শ্রমিকরা। বন্ধ থাকবে অফিস, কল-কারখানা। বন্ধ থাকবে কলকাতার সোনাগাছিও। তারাও তো শ্রমিক। মে দিবসের একদিন আগে অর্থাৎ ৩০সে এপ্রিল শ্রমিকের মর্যাদা চেয়ে পথে নামে সোনাগাছির যৌনকর্মীরা। গত ৩০ এপ্রিল বিকাল ৪টা থেকে একটি জমায়েত করা হয় দুর্বার মহিলা সমন্বয়ে কমিটির পক্ষ থেকে। সেখানে শহরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে যৌনকর্মীরা হাজির হন। সেখানে তাঁদের অধিকার রক্ষা সংক্রান্ত নানা আলোচনা করা হয়। নিজেদের দাবি জানিয়ে দুর্বার মহিলা সমন্বয় কমিটির সম্পাদক বিশাখা লস্কর বলেন, আর পাঁচটা ক্ষেত্রের শ্রমিকদের মতো যৌনকর্মীরাও শ্রমিক। কিন্তু তারা শ্রমিকদের মর্যাদা পান না।
পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কাছে আমাদের দাবি, অবিলম্বে সব যৌনকর্মীদের শ্রমিকের মর্যাদা দিতে হবে। এই মুহূর্তে শহরের যৌনকর্মীরা যে সব শ্রমিক সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত তাদের কোনো সরকারি স্বীকৃতি নেই। রেজিস্ট্রেশন নম্বরও নেই। ফলে এ বছর মে দিবসে সোনাগাছির স্লোগান ‘গতর খাটিয়ে খাই। শ্রমিকের অধিকার চাই।’ সমাজে তাঁদের অবস্থানকে কেন এভাবে অবহেলার করে রাখা হবে সেই প্রশ্নও তোলেন তারা। এছাড়াও দুর্বারের দাবি, রেশন কার্ড, ভোটার কার্ডের জন্য যেন তাদের বাড়ির ঠিকানা দাবি না করা হয়। এতে তাদের আরও অস্বস্তির মধ্যে পড়তে হয়। সেক্ষেত্রে তাদের বাড়ির ঠিকানা যাতে আড়াল রাখা হয় সেটা নিশ্চিত করার ব্যাপারে বলা হয়। কারণ রেশন কার্ডে বা আধার কার্ডে যদি সোনাগাছি নামটি নির্দিষ্ট করা হয় তবে স্বাভাবিকভাবেই সেটা সমাজের চোখে অন্যরকম মনে হতে পারে। সেকারণেই এই দাবি করা হয়।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ১৯ মে যৌনকর্মীদের নিয়ে একটি রায় দেয় সুপ্রিম কোর্ট। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ, স্বেচ্ছায় কেউ এই কাজে যুক্ত হলে তাদের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নিতে পারবে না পুলিশ। কিন্তু যৌনকর্মীদের অভিযোগ, সুপ্রিম কোর্ট এই রায় দিলেও তা কার্যকর হচ্ছে না। অবিলম্বে পুলিশের হয়রানি বন্ধ করতে হবে।
Discussion about this post