তীব্র গরমে পুড়ছে দক্ষিনবঙ্গ।দুপুরে বাড়ির বাইরে বেরোনো দায়।এদিকে রাতেও ঘুম হচ্ছে না গরমে।অস্বষ্টিতে দক্ষিনবঙ্গ বাসী।কালবৈশাখীর অপেক্ষায় দিন গুনছে মানুষ।কারন তপ্ত গরম থেকে একমাত্র বাঁচাতে পারে কয়েক পশলা বৃষ্টি।দক্ষিনবঙ্গে যখন এই পরিস্থিতি তখন উত্তরবঙ্গে আবহাওয়া অনেকটাই শীতল।তাই গরম থেকে বাঁচতে কদিনের জন্য ঘুরে আসতে পারেন উত্তরে।কিন্তু কোথায় জানেবেন? সেই হদিস দেব আজকের প্রতিবেদনে।
অহলধারা
দার্জিলিং জেলার কার্শিয়াংয়ের ছোট্ট জনপদ অহলধারা। সেল্পু পাহাড়ে অবস্থিত একটি পাহাড়ি চূড়া। অহলধারা ভিউ পয়েন্টে দাঁড়িয়ে কার্শিয়াঙের ৩৬০ ডিগ্রি ‘ভিউ’ দেখতে পাবেন আপনি। রাতের নিস্তব্ধতাও এখানে যেন প্রাণ ভরিয়ে দেয়। অহলধারা থেকে সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্ত দেখতেও বেশ লাগে। আকাশ মেঘমুক্ত থাকলে এখান থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘাও যাবে যায়।
তাবাকোশি
উত্তরকন্যার কোলে লুকিয়ে থাকা যে সব পাহাড়ি গ্রামে এখন পর্যটকদের আনাগোনা বাড়ছে, তার মধ্যে অন্যতম এই তাবাকোশি।মিরিক থেকে ঢিলছোড়া দূরত্বে রয়েছে এই তাবাকোশি। এখানে গেলে পাহাড়ের সৌন্দর্য চোখে পড়বে সঙ্গে পাহাড়ি গাছ।এছাড়াও মন কাড়বে সবুজে মোড়া চা বাগান।
পাবং
কালিম্পং থেকে কমবেশি ২৫ কিলোমিটার দূরে রয়েছে এই গ্রাম।হোটেলে বসে চোখের সামনে সূর্যাস্ত দেখতে দেখতে মন জুড়িয়ে যাবে। নিরিবিলিতে কয়েকদিন ছুটি কাটানোর পক্ষে উপযুক্ত জায়গা হল পাবং।এখান থেকে ঘুরে আসতে পারেন নেওরা ভ্যালি ন্যাশনাল পার্ক।
বাগোড়া
কার্শিয়াঙের খুব কাছেই বাগোড়া নামে এক গ্রাম। ছিমছাম সবুজে মোড়া বাগোড়া পর্যটকদের কাছে বেশ জনপ্রিয়। কাঞ্চনজঙ্ঘার সঙ্গে মেঘের খেলা দেখতে দেখতেই সময় কেটে যায়। তা ছাড়া কয়েক কিলোমিটারের দূরত্বে রয়েছে চিমনি, ডাওহিল ও ফরেস্ট মিউজ়িয়াম।সেখানেও একবার ঘুরে আসতে পারেন।
ঋষিহাট
দার্জিলিং জেলার ছোট্ট একটি গ্রাম ঋষিহাট।গরমের ছুটিতে কয়েকদিনের জন্য ঘুরে আসতে পারেন এখান থেকে।গ্রামের পরিবেশ একেবারে নিরিবিলি।ছোট ছোট কাঠের ঘরবাড়ি রয়েছে।দেখার জন্য রয়েছে কাঞ্চনজঙ্ঘার অপরূপ শোভা, চা-বাগানের সবুজালি রূপ, আর পাহাড়।গরমে মনোরম পরিবেশে ছুটি কাটাতে ঘুরে আসতেই পারেন উত্তরবঙ্গের এই গ্রামগুলি থেকে।
Discussion about this post