ক্রিকেট-আইপিএল – ধোনি অনেকটা মিলে মিশে একাকার, বিশেষ করে চেন্নাইয়ের সমর্থকদের জন্য। যদিও ধোনি মাঠে থাকলে সবার নজর থাকে ধোনির দিকেই । সেটা যে কোন ক্রিকেটপ্রেমীর কাছে একটা লোভনীয় দৃশ্য হয়ে ওঠে। এবং ক্যামেরাম্যানরাও সেটা অনুভব করে চেষ্টা করেন ধোনির ব্যক্তিগত মহুর্তও ফ্রেম বন্দি করতে। যে কারণে গতবারে দেখা গিয়েছিল ধোনি জলের বোতল ক্যামেরাম্যানের দিকে তাক করছেন, এটা বোঝাতে যে সব সময় কেন তার দিকে ক্যামেরার অভিমুখ থাকবে, বিশেষ করে যখন তিনি মাঠের বাইরে। ধোনিকে নিয়ে সেই আবেগ কি এবার দেখা যাবে। এখনও পর্যন্ত নিশ্চিৎ নয় চেন্নায়ও।
আইপিএলের নিলামের আগে ক্রিকেটার ধরে রাখার নিয়মে বদল হওয়ার পরে, আশা জেগেছিল চেন্নাই সুপার কিংসের সমর্থক তথা সারা দেশের ক্রিকেটপ্রেমীদের। অনেক কম টাকায় ঘরোয়া ক্রিকেটার হিসাবে মহেন্দ্র সিংহ ধোনিকে ধরে রাখার একটা সুযোগ ছিল। কিন্তু এখন আবার সংশয় তৈরি হয়েছে। আইপিএলের আগামী মরসুমে কি আর চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে খেলবেন না মাহি? ধরে রাখা ক্রিকেটারদের নাম জানানোর জন্য আর ৩০ দিন বাকি। অথচ ধোনির সঙ্গে নাকি যোগাযোগই করতে পারছে না চেন্নাই।চেন্নাই সুপার কিংসের সিইও কাশী বিশ্বনাথন একটি সাক্ষাৎকারে মাহিকে ধরে রাখার প্রসঙ্গে বলেন, “এই মুহূর্তে আমরা সত্যিই কিছু জানি না। ধোনির ক্ষেত্রে আমরা আনক্যাপড ক্রিকেটারের নিয়ম ব্যবহার না-ও করতে পারি। কিন্তু এই বিষয়ে এত তাড়াতাড়ি কিছু বলতে পারব না। কারণ, ধোনির সঙ্গে যোগাযোগই করতে পারছি না আমরা। ওর সঙ্গে এই বিষয়ে কোনও কথা হয়নি।”
তবে কাশী বিশ্বনাথন আশা করছেন, কয়েক দিনের মধ্যে ধোনির সঙ্গে তাঁদের কথা হয়ে যাবে। তিনি বলেন, “ধোনি আমেরিকায় ছিল। তাই ওর সঙ্গে কথা হয়নি। এই সপ্তাহে আমি আমেরিকায় যাচ্ছি। আশা করছি আগামী সপ্তাহে ওর সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারব। তার পরে হয়তো এই বিষয়টা স্পষ্ট হবে।”
এ বারের নিলামের আগে আইপিএলের গভর্নিং কাউন্সিল জানিয়েছে, সর্বাধিক ছ’জন ক্রিকেটারকে ধরে রাখতে পারবে দলগুলি। পাঁচ জন জাতীয় দলে খেলা ও দু’জন আনক্যাপড ক্রিকেটারকে ধরে রাখা যাবে। সে ক্ষেত্রে এক জন ক্রিকেটারকে ধরে রাখতে রাইট টু ম্যাচ কার্ড ব্যবহার করা যাবে। গভর্নিং কাউন্সিল আরও জানিয়েছে, পাঁচ বছর আগে অবসর নেওয়া ভারতীয় ক্রিকেটারদের ঘরোয়া ক্রিকেটার হিসাবে ধরা হবে। ধোনি ২০১৯ সালের জুলাই মাসে অবসর নিয়েছেন। সেই হিসাবে এ বার তিনি ঘরোয়া ক্রিকেটার হিসাবে খেলতে পারবেন। সে ক্ষেত্রে অনেক কম টাকায় তাঁকে ধরে রাখা যাবে। কিন্তু সবটা নিয়েই সংশয় রয়েছে। বিশ্বনাথন জানিয়েছেন, এই বিষয়ে শেষ সিদ্ধান্ত ধোনিই নেবেন। ৩১ অক্টোবর ধরে রাখা ক্রিকেটারদের নাম জানানোর শেষ দিন। তার আগে ধোনির সঙ্গে পুর বিষয়টি চূড়ান্ত হওয়া প্রয়োজন। কিন্তু তাঁর সঙ্গে যোগাযোগই করতে পারছে না চেন্নায়ের কোন কর্তা ব্যক্তি।
বাংলাদেশকে চাপ দিতে শুরু করেছে ভারত। বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে বাংলাদেশের উপর নিষেধাজ্ঞা ভারতের। ভারতের বন্দর ব্যবহার করে নেপাল, ভুটান, মায়ানমারের মত...
Read more
Discussion about this post