সাধারণত কোন ম্যাচ হারার পর দল এবং অধিনায়ক সমালোচনার মুখে পড়েন। কিন্তু হায়দরাবাদের কাছে হারের পরেই সমালোচনার মুখে পড়লেন দলের মালিক । ম্যাচ হারার পর প্রকাশ্যেই দলের অধিনায়ক রাহুলকে ভর্ৎসনা করতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। তবে এত বাজে ভাবে হায়দরাবাদের কাছে এই ভাবে দলের আত্মসমর্পণ মেনে নিতে পারেন নি তিনি তাহলেও বিষয়টিকে ভাল ভাবে নেননি সমর্থক থেকে শুরু করে ধারাভাষ্যকারেরা কেউই।
গত বুধবার আইপিএলে খেলা ছিল হায়দরাবাদ এবং লখনউয়ের। সেই ম্যাচে আগে ব্যাট করে ১৬৫/৪ তোলে রাহুলের দল। জবাবে দশ ওভার পুরো না খেলেই কোনও উইকেট না হারিয়ে জয়ের রান তুলে নেয় হায়দরাবাদ। অভিষেক শর্মা এবং ট্রেভিস হেডের দাপটের সামনে কোন বোলারই দাঁড়াতে পারেননি।
ম্যাচের পরেই সঞ্জীব নেমে আসেন মাঠে। বাউন্ডারির ধারে দাঁড়িয়েই উত্তেজিত হয়ে রাহুলকে অনেক কিছু বোঝাতে থাকেন। ওনার আচরণ দেখেই বোঝা যাচ্ছিল দলের এই ভাবে আত্মসমর্পণ মেনে নিতে পারেন নি তিনি । উত্তেজিত হওয়ার কারণে তাঁর গলার স্বরও যে বেশ উঁচু ছিল, সেটাও বোঝা গিয়েছে ভিডিয়ো দেখে।সঞ্জীব বাবুর দাপটের সামনে রাহুল কিছু বলতেই পারেননি। এবং কিছু বোঝাতে চেষ্টা করলেও সঞ্জীব বাবু সেটা মানতে চাননি।
সেই ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ামাত্রই সমালোচনার ঝড় বয়ে গিয়েছে।ভারতীয় দলের একজন ক্রিকেটারের প্রতি ক্লাবমালিকের এমন আচরণে খুশি হতে পারেননি ক্রিকেটপ্রেমীরা। অনেকের দাবি, দলের হারে মালিকের রাগ হতেই পারে। তবে সেটা তো সাজঘরে ফিরেও বোঝানো যেত। মাঠের মধ্যে সবার সামনে এ ভাবে রাহুলকে ‘অপমান’ করা কি শোভনিয় একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যাক্তির ক্ষেত্রে।
কেউ কেউ এই ঘটনার বিপরীতে টেনে এনেছেন কেকেআর মালিক শাহরুখ খানের দলের প্রতি ব্যবহারকে। যেখানে রাজস্থানের কাছে ঘরের মাঠে ও ভাবে দলের হার স্টেডিয়ামে বসে দেখেছিলেন শাহরুখও। দল বা অধিনায়ককে বকাঝকার বদলে তিনি সাজঘরে গিয়ে প্রত্যেককে উৎসাহ দেন। দ্রুত হার ভুলে যেতে বলেন। সবাইকে গিয়ে জড়িয়ে ধরেন। কেকেআরের সাফল্যের পিছনে শাহরুখের এই অবদানের কথাও মনে করিয়ে দিয়েছেন অনেকে।
যদিও সঞ্জীব বাবুর এমন আচরণ মোটেই নতুন নয় বলে মনে করছেন সমর্থকদের একাংশ। তাঁরা মনে করিয়ে দিচ্ছেন বেশ কয়েক বছর আগের একটি ঘটনা, যখন রাইজিং পুণে সুপারজায়ান্টের মালিক ছিলেন সঞ্জীব বাবু। চেন্নাই নির্বাসিত থাকার সময়ে পুণের হয়ে দু’বছর আইপিএলে খেলেছিলেন ধোনি। প্রথম বছর তিনিই অধিনায়ক ছিলেন। পরের বছর তাঁকে নেতৃত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়।সেই সিদ্ধান্তের পিছনেও সঞ্জীব বাবুর হাত ছিল বলে মনে করেন অনেকেই। ক্রিকেটজীবনে ধোনিকে সেই প্রথম এবং এখনও পর্যন্ত শেষ বার অধিনায়কত্ব থেকে সরে যেতে হয়েছিল। আবার চেন্নাইয়ের অধিনায়ক হিসাবে ফিরে ধোনি নিজের দক্ষতা বার বার প্রমাণ করে দিয়েছেন।বলা যেতে পারে যোগ্য জবাব দিয়েছেন সেই অপমানের।
Discussion about this post