ভারতীয় টিমের জার্সিতে শেষ হলেও ক্লাব ফুটবলে এখনই বিদায় নয় সুনীল ছেত্রীর। তাই ফুটবল ট্রেনিং,জিম, সাঁতারের সঙ্গে থাকবে নিয়মিত যোগাযোগ। তবে সাম্প্রতিককালে সুনীলের রোজ নামচায় যোগ হয়েছে আরও একটি অভ্যাস তা হলো বাংলা মেগাসিরিয়াল । শুনতে অদ্ভুত লাগলেও শ্যালক সাহেব ভট্টাচার্য অভিনীত টেলিভিশনের বাংলা মেগা সিরিয়াল ‘কথা’র নিয়মিত দর্শক এখন সদ্য অবসর নেওয়া ভারতীয় ফুটবল টিমের ক্যাপ্টেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে বিদায়ী ম্যাচের আগে এই রহস্য ভাঙ্গলেন সাহেব । শুটিং শেষ করে তিনিও ছুটবেন যুবভারতীতে ম্যাচ দেখতে। তার আগে ফোনে হাসতে হাসতে সাহেব বললেন আমার জন্যই হয়তো সিরিয়াল টা দেখে সুনীল। কিন্তু ও যে খুব সিরিয়াস দর্শক সেটা বুঝতে পারি। কারন শুধু দ্যাখেই না রীতিমতো নিয়ম করে ফিডব্যাক দেয়। এখানেই শেষ নয়, সিরিয়ালের শেফের ভূমিকায় অভিনয় করা সাহেবকে তার স্ত্রী ডাকেন ‘পাচক মশাই ‘নামে।
এমনিতে শুধু শ্যালক ভগ্নিপতির সম্পর্ক নয় সুনীল সাহেবের বন্ধুত্ব বহুদিনের ।কি কথা হয় দুজনের ? জবাব, বন্ধুত্বের মধ্যে আড্ডা মারার কোন নির্দিষ্ট বিষয় থাকে না । তবে অনেক কিছুর মধ্যে আমার আর সুনীলের একটা কমন ইন্টারেস্ট এর জায়গা ফিটনেস । আমরা দুজনেই ঠিক থাকার বিষয় নিয়ে কথা বলতে ভালোবাসি। আমাদের পারিবারিক একটা হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে আমরা সমবয়সীরা এখানে ফিট থাকার বিষয় নিয়ে কথা বলতে ভালোবাসি । নিজের তারকা বৃত্তে ঘোরাঘুরি করলেও সুনীলের কাজের পদ্ধতি তাকে প্রেরণা দেয় বলেই জানান সাহেব। এবার বলেন ফুটবল মাঠে নেমে মানসিকতা নিশ্চিত ভাবেই অগ্রাসি, সুন্দর না হলে এই পর্যায়ে আসা যায় না । তবে অগ্রাসী হয়েও অবিশ্বাস্য রকমের নম্র গোল করে নমস্কার করে হাত মুঠো পর্যন্ত করেনা । আমাদের ঘরোয়া। আড্ডাতেও ভীষণই চুপচাপ। এ যেন সাহেবের বাবা আরেক কিংবদন্তি সুব্রত ভট্টাচার্যের ঠিক উল্টো।।
Discussion about this post