এমন একটা দিনে নিউইয়র্কে ভারত পাকিস্তান ম্যাচ হল যাকে কখনই ক্রিকেটের পক্ষে আদর্শ বলা যাবে না। মাত্র মাস চারেক আগে এই মাঠটা তৈরি হয়েছে ।ফলে ঘাসের তলায় বালি রয়ে গিয়েছে। বৃষ্টিতে আরও মন্থর হয়ে যায় আউটফিল্ড।। এর সঙ্গে বৃষ্টি ভারতীয় দলের ছন্দপতনের জন্য অনেকটা দায়ী হয়ে দাঁড়িয়েছিল। এই কারণেই টসে জিতে পাকিস্তান বল করার সিদ্ধান্ত নেয়। প্রথম ওভারেই সুন্দর শুরু করল ভারত। অসাধারণ একটা ফ্লিকে শাহিন আফ্রিদিকে ডিপ স্কোয়ার লেগের গ্যালারিতে ফেলে দিল রোহিত শর্মা । কিন্তু তারপরেই বৃষ্টিতে ম্যাচ বন্ধ হয়ে গেল।
এই ছন্দপতনটা কিন্তু ভারতীয় দলের বড় ক্ষতি করে দিয়ে গেল। এর সঙ্গে ছিল ড্রপ ইন পিচের কেরামতি ।মানে বল ঠিক করে না আসা ,অসমান বাউন্স। বিরাট এর ক্ষেত্রে ক্যাচ চলে গেল কভার পয়েন্টে। আফ্রিদির বলটা সুইং করে ভেতরের দিকে না আসায় একটু সোজা হয়ে গেল, রোহিত চেয়েছিল বলটা ফাইন লেগের দিকে পাঠাতে। কিন্তু বল দেরিতে আসার টাইমিং হলো না ক্যাচ উঠে গেল। চার নম্বরের অক্ষর প্যাটেল কে নামানো নিয়ে অনেক কথা হচ্ছে ।ভারতীয় দল পরিচালন সমিতি একেবারে ঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। তিন ওভারের মধ্যে দুই ওপেনার কে হারিয়েছিল ভারত।
কিন্তু এটা ওরা বুঝতে পেরেছিল প্রথম ছয় ওভারে রান তোলাটা প্রয়োজন। যে কারণে বড় শট খেলার জন্য অক্ষরকে চারে নামানো হয়। অক্ষর কিন্তু খারাপ খেলছিলেন না। একটা ছয় মেরেছেন । ওর ১৮ বলে ২০ রান ভারতের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান । ঋষভের ৪২ রানের পরে। প্রথম ছয় ওভারে ৫০ রান তুলেছিল ভারত এই রানটা না হলে ভারত কিন্তু ১১৯রান তুলতেপারতো ন। অসাধারণ বল করলো বুমরা, ঠিক সময়ে উইকেট তুলে নিল হার্দিক। ঋষভ পন্থ উইকেটের পেছনে তিনটে খুব ভালো ক্যাচ নিল। পিচ তো কঠিন ছিলই এর পরে পাকিস্তানের ওপরে চেপে বসল বড় ম্যাচের চাপ । রিজওয়ানে স্ট্যাম্প ছিটকে দিয়ে ম্যাচটা ঘোরানো শুরু করে দেন বুমরা ।
সাদাব খানকে ফিরিয়ে দিয়ে পাকিস্তানকে আরো কোনঠাসা করে দেয় হার্দিক। আস্কিং রেট ও বাড়তে থাকে ।ভারত ১১৯ রান করলেও পাকিস্তান থেমে গেল সাত উইকেটে ১১৩ রানে। ১৪ রান দিয়ে তিন উইকেট নিয়ে এই জয়ের কান্ডারী বুমরাই। এই হারের ফলে পাকিস্তান প্রায় ছিটকে গেল বিশ্বকাপ থেকে ।এরকম একটা ম্যাচ জিতে মনোবল অনেক বেড়ে গেল ভারতের ।
Discussion about this post