এবার ভারতবর্ষের সংসদে যে তিনজন খেলোয়াড় থাকছেন তারা হলেন ইউসুফ পাঠান ,কীর্তি আজাদ এবং প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনজনই পশ্চিমবঙ্গ থেকে। রাজনীতির পিচে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নামান খোদ নরেন্দ্র মোদীর রাজ্যের ছেলে ইউসুফ পাঠান কে । ২০০৭ সালে টি-টোয়েন্টি আর ২০১১ সালে ওয়ানডে বিশ্বকাপ জেতা অলরাউন্ডার ইউসুফ তৃণমূলের হয়ে রাজনীতির প্রথম ইনিংসেই “ম্যান অফ দ্যা ম্যাচ”। বহরমপুরে ৮৫ হাজার ২২ ভোটে হারান পাঁচবারের কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরীকে। জয়ের পর ইউসুফ বলেছেন, “মমতা দিদির কাছে আমি কৃতজ্ঞ পার্লামেন্টে আমাকে পাঠানোর সুযোগ দেওয়ার জন্য”। হাওড়ার ফুটবল সাংসদ প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়ের জয়ের মধ্যে চমক নেই। তিনি প্রায় ৬০ হাজার ব্যবধান বাড়িয়েছেন, জিতেছেন ১ লক্ষ ৬৯ হাজার ৪৪২ ভোটে।
তৃণমূলের হয়ে টানা চারবার জিতে প্রসূন ভারতের ক্রীড়া ইতিহাসে নজির গড়লেন। তার আগে কোন নাম করা ক্রীড়াবিদ এতবার যেতেন নি। আর 2013 থেকে তিনি এখনো পর্যন্ত দেশের একমাত্র ফুটবলার সাংসদ। জয়ের পরে প্রসূনের মন্তব্য, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যেভাবে বিজেপির নোংরামো থেকে বাংলাকে বাঁচানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন, আমি সেই লড়াইয়ে সামিল। হাওড়ার মানুষের কাছে আমি কৃতজ্ঞ”। বর্ধমান দুর্গাপুর লোকসভা থেকে কেন্দ্রে বিজেপির দিলীপ ঘোষকে বাউন্ডারির বাইরে আছড়ে ফেলেছেন তৃণমূলের কীর্তি আজাদ । ১৯৮৩ সালের কপিল দেবের নেতৃত্বে দেশকে প্রথম বিশ্বকাপ জেতানো অলরাউন্ডার দিলীপ ঘোষকে হারিয়েছেন ১ লক্ষ ৩৭ হাজার ৯৭৮ ভোটে । পার্লামেন্টে যাওয়ার কীর্তির কাছে নতুন নয় ।২০১৪ সালে তিনি বিহারের দারভাঙ্গা থেকে বিজেপির হয়ে জিতেছিলেন। বিজেপি ছেড়ে 2019 সালে কংগ্রেসের গিয়ে ধানবাদ থেকে হারেন। তারপরে 2021 সালে তৃণমূলের যোগ দিয়ে তিনি আবার রাজনীতির উইকেটে নতুন করে ট্রান্স নিলেন। জয়ের পরে কীর্তির প্রতিক্রিয়া,” দিলীপ ঘোষ বাংলার মা মেয়েদের অসম্মান করেছেন। তারই ফল ভোগ করলেন”।
অলিম্পিস্কে প্রাক্তন হকি টিমের ক্যাপ্টেন ও হকি ফেডারেশনের প্রেসিডেন্ট দিলীপ তির্কে দাঁড়িয়েছিলেন ওড়িশা সুন্দরগড় থেকে বিজু জনতা দলের হয়ে। তিনি ১ লাখের বেশি ভোটে হারেন বিজেপির কাছে। বিজেপিতে যোগ দিয়েই রাজস্থানের ছুঁড়ু থেকে দাঁড়িয়ে ছিলেন প্যারা অলিম্পিকসের জোড়া সোনা জয়ী জ্যাভলিন থ্রোয়ার দেবেন্দ্র ঝাঝারিয়া। তিনি ৭২,৩৩৭ভোটে হারেন কংগ্রেসের রাহুল কেশোয়ানের কাছে। দিলীপ ও দেবেন্দ্র হারে এবার সংসদে প্রসূন- কীর্তি- ইউসুফই দেশের খেলার মুখ।
Discussion about this post