মাঝে মাঝেই গাব্বার প্রেস বক্সের পাশের গ্যালারিতে বেজে উঠছে শাঁখ, সঙ্গে প্রবল দাপটে ভারতের তেরঙ্গা নারিয়ে চলেছেন রোগা মত এক টাক মাথা। পেছনে মোহাক স্টাইলে অল্প চুল। মুখটা তেরঙ্গায় রাঙানো, ওপরের গেরুয়া অংশে ইংরেজিতে লেখা ইন্ডিয়া। জাতীয় পতাকার রঙেই একটা ফুলস্লিভ গেঞ্জি। তাতে সাদা রঙের লেখা মিস ইউ টেন্ডুলকর, নিচে ১০ নম্বর,। ভারতে থাকার সময় ম্যাচ থাকলে সারারাত জেগে সারা গায়েতে তেরঙ্গার রঙে রাঙান, থাকেন কিছু না খেয়ে। কিন্তু বিদেশে ফুল স্লিভ গেঞ্জি। প্রায় বছর ২৫ হয়ে গেল ভারতের প্রত্যেক জায়গায় তো বটেই বিশ্বের যেখানে যেখানে টিম ইন্ডিয়া খেলতে যায় সেখানে গ্যালারিতে বা প্র্যাকটিস ভেরি নাইস টিমের জন্য তেরাঙ্গা হাতে হাজির থাকেন সুধীর তোমার গৌতম। বিহারের মজ:ফরপুরের ছেলে ছয় বছর বয়স থেকে শচীনের ভক্ত। ক্রিকেট প্রেম থেকেই শুরু পাগলামি ।সব ছেড়েছুড়ে টিম ইন্ডিয়া সঙ্গে ঘুরে বেড়ানোর নেশা,।প্রথম জীবনের রেল স্টেশনে বা ঝুপড়িতে রাত কাটানো, কখনো বা স্টেডিয়ামের নিচেই শেডে শুয়ে থাকা। ধীরে ধীরে সোশ্যাল মিডিয়ায় পরিচিতি, সচিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ। এই অন্ধভক্তের জন্য বহুবার সচিন বাড়িয়ে দিয়েছে সাহায্যের হাত ।২০২২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে অস্ট্রেলিয়ায় আসার ব্যাপারে সুধীরের ভিসা সমস্যা ছিল। সচিন স্বয়ং অস্ট্রেলিয়ান হাই কমিশনের চিঠি দেওয়ার ভিসা পেয়েছিলেন সুধীর ।বেশ কিছু কর্পোরেট সংস্হাও এখন বিভিন্ন বিদেশ সফরে সুধীরকে সাহায্য করে। ছবি বা সেলফি তুলতে আপত্তি নেই। সুধীরের জনপ্রিয়তা এদেশেও ভাঁটা পড়েনি। অজি সমর্থকরা ও তার সঙ্গে ছবি তুলতে ব্যস্ত। উনিশে জানুয়ারি ২০০১ সালে ১৮ দিন ধরে জামশেদপুর থেকে সাইকেল চালিয়ে মুম্বাইয়ে পৌঁছান। ট্রেনের টিকিট কেনা পয়সা ছিল না। ২০০৭, ২০১১,২০১২ ।পর পর তিনবার সাইকেল চালিয়ে ভারত থেকে বাংলাদেশে গিয়েছেন খেলা দেখার জন্য। ট্রেনে বহুবার চড়েছেন বিনা টিকিটে। ২০১১ বিশ্বকাপের সময় বিনা টিকিটের যাত্রী হতে গিয়ে পুলিশের হাতে পড়েন ।শেষ পর্যন্ত ছাড় পেলে তখনই ঠিক করেন শচীনের ভক্ত হিসেবে তিনি বিনা টিকিটে যাত্রী হতে পারেন না। তারপরে গঙ্গা দিয়ে বহু জল বয়ে গিয়েছে ।এখনো প্লেনে দেশে -বিদেশে যাতায়াত করতে অসুবিধা হয় না
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভারতের অংশ গ্রহন নিয়ে, পাকিস্তানের সঙ্গে অনেক দড়ি টানাটানির পর, যদিও বা হাইব্রিড মডেলে ভারত পাকিস্তান রাজি হল।...
Read more
Discussion about this post