সুপ্রিম কোর্টের অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশে সাময়িক স্বস্তি মিলেছে৷ আপাতত বাতিল হচ্ছে না প্যানেল। অন্যদিকে ১২ শতাংশ হারে ফেরত দিতে হবে না বেতনও। তবে এসএসসি’র যোগ্যদের তালিকা প্রকাশ না করা পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবেন শিক্ষকেরা। মঙ্গলবার শীর্ষ আদালতের নির্দেশে ১৬ জুলাই পর্যন্ত চাকরি বহাল থাকবে ২৫,৭৫৩ জন শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মীর৷ সম্প্রতি এসএসসি অযোগ্য হিসাবে ৫,২৫০ জনকে চিহ্নিত করেছিল৷
কিন্তু মঙ্গলবার সিবিআই-এর রিপোর্ট উদ্ধৃত করে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের তিন সদস্যে ডিভিশন বেঞ্চকে এসএসসি জানায়, ২০১৬ সালে বেআইনি নিয়োগের সংখ্যাটা ৮,৮৬১টি। এদের চক্ষু চড়কগাছ সকলের। কী ভাবে একলাফে এতটা বদলে গেল অযোগ্যদের সংখ্যা? স্বভাবতই প্রশ্নের মুখে পড়েছে এসএসসি-র চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার৷ প্রসঙ্গত, এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় হাইকোর্টের নির্দেশে ২০১৬ সালের গোটা প্যানেলটাই বাতিল হয়। সেক্ষেত্রে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ ছিল, যেহেতু একাধিকবার তলব করার পরও এসএসসি বা রাজ্য সরকারের তরফ থেকে যোগ্য ও অযোগ্যদের তালিকা আলাদা করে দেওয়া হয়নি, তাই যোগ্যদের পৃথকভাবে চিহ্নিত করতে না পেরে, গোটা প্যানেলটাই বাতিল করা হয়েছে। এসএসসি-র দাবি অনুযায়ী, ৬ হাজার চাকরিতে বেনিয়ম হলে গোটা প্যানেলটা বাতিল কেন? গত সোমবার সুপ্রিম কোর্ট জানতে চেয়েছিল, আসল ওএমআর শিট নষ্ট হয়েছে, তার স্ক্যানড কপিও সিস্টেমে রাখা হয়নি। অন্যদিকে ওএমআর মূল্যায়নকারী সংস্থা নাইসা স্বয়ং ভুয়ো। সেক্ষেত্রে কি যোগ্য ও অযোগ্যদের তালিকা আলাদা করে বাছাই করা কিভাবে সম্ভব? এদিন আদালতে এসএসসি জানায় সিবিআই-এর রিপোর্টের ভিত্তিতে যোগ্য অযোগ্যের ফারাক করা সম্ভব। এই মামলার পরবর্তী শুনানি ১৬ই জুলাই।
Discussion about this post