২০২০ সালে লাদাখের গালওয়ানে ভারত ও চিনা সেনাবাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধেছিল। সেই মুখোমুখি সংঘর্ষে ঝরেছিল রক্তও। তারপর আরও দুবার একই রকমের ঘটনা ঘটেছে দুই দেশের সেনাবাহিনীর জওয়ানদের মধ্যে। এরপর থেকে দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে সম্পর্কের বরফ ক্রমশ জমাট বেঁধেছে। এমনকি গত ১৮ মাস ধরে ভারতে চিনের কোনও রাষ্ট্রদূত ছিলেন না। দুই দেশের সম্পর্কে টানাপোড়েনের সময় ভারতে নিযুক্ত চিনা রাষ্ট্রদূতকে দেশে ফিরিয়ে নিয়েছিল বেজিং। অবশেষে গলতে শুরু করেছে বরফ। বেজিং জানিয়ে দিল ভারতে নতুন রাষ্ট্রদূতের নাম। খুব শীঘ্রই তিনি নয়াদিল্লি এসে নিজের দায়িত্ব বুঝে নেবেন।
গত জানুয়ারি মাস থেকেই শোনা যাচ্ছিল চিনা বিদেশ মন্ত্রক ভারতে নতুন রাষ্ট্রদূত নিয়োগ করতে চলেছে। অবশেষে নানান কূটনৈতিক ও প্রশাসনিক আনুষ্ঠানিকতা মিটিয়ে শি জিংপিং সরকার ঘোষণা করল ভারতের নতুন রাষ্ট্রদূতের নাম। বেজিং জানিয়েছে, ভারতের নতুন চিনা রাষ্ট্রদূত হবেন শি ফেইহং। তিনি এর আগে আফগানিস্তান এবং রোমানিয়ায় চিনা রাষ্ট্রদূত হিসেবে কাজ করেছেন। বর্তমানে তিনি চিনা বিদেশ মন্ত্রকের উপমন্ত্রী পদে রয়েছেন।
এর আগে ভারতে চিনা রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিযুক্ত ছিলেন সান ওয়েইডং। তিনি ২০২২ সালের অক্টোবর মাসে ভারত ছেড়েছিলেন। তার পর থেকে ১৮ মাস ভারতে কোনও চিনা রাষ্ট্রদূত ছিলেন না। ফলে কূটনৈতিক এবং বিদেশনীতি সংক্রান্ত কিছু জটিলতা সৃষ্টি হচ্ছিল বলে দাবি করছিলেন ওয়াকিবহাল মহলের একাংশ। কারণ দুই দেশের মধ্যে বৈদশিক এবং বাণিজ্যিক বিষয়ে আরও অগ্রগতির জন্য একটি স্বীকৃত কূটনৈতিক চ্যানেল থাকা খুব জরুরি। এই পরিস্থিতিতে ভারতে নতুন রাষ্ট্রদূত শি ফেইডং কাজে যোগ দিলে সুবিধা হবে বলেই মত বিশ্লেষকদের। অপরদিকে নয়াদিল্লির সাউথ ব্লকও পুরো বিষয়টির দিকে নজর রাখছে। ভারতে লোকসভা ভোটের আবহে নতুন রাষ্ট্রদূতের নাম ঘোষণা এবং তাঁকে তড়িঘড়ি দিল্লি পাঠানোর বিষয়টি আতস কাঁচের নিচে রয়েছে। তবে সাউথ ব্লকের একাংশ দাবি করছেন, নতুন চিনা রাষ্ট্রদূতকে স্বাগতই জানাবে নতুন দিল্লি।
Discussion about this post