দমদম বিমানবন্দরের আশেপাশে লেজার লাইটের দাপটে বিমান ওঠানামা কার্যত বন্ধ হতে বসেছে। লেজার লাইট নিয়ে প্রায়ই কলকাতা বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ দায়ের করছেন পাইলটরা। এই বিষয়ে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ স্থানীয় পুলিশ-প্রশাসনের কাছে অভিযোগও জানিয়েছিল। এবার লেজার লাইট নিয়ে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার প্রস্তুতি নিল বিধাননগর পুলিশ। এক নির্দেশিকা জারি করে বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেট কলকাতা বিমনবন্দরের আশেপাশে লেজার লাইট ব্যবহারে সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা জারি করল।
বিমানবন্দর সূত্রে জানা যাচ্ছে, দমদমের নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের আশেপাশে নিউটাউন, ভিআইপি রোড, নারায়ণপুর, সল্টলেক, বিরাটি, বাঁকড়া এলাকায় রাত হলেই লেজার লাইটের দাপট শুরু হয়। মূলত বিমানবন্দর লাগোয়া বিভিন্ন হোটেল ব্যাঙ্কোয়েট হলগুলিতে আকাশমুখী লেজার লাইটের খেলা দেখা যায়। যার ফলে বিমান নিয়ে অবতরণের সময় বা ওড়ার সময় সমস্যায় পড়েন পাইলটরা। এবার কড়া হাতে লেজার লাইটের দাপট থামানোর উদ্যোগ নিল বিধাননগর পুলিশ। এক নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে বিমান ওঠানামার সময় উর্ধ্বমুখী লেজার লাইটের জন্য অনেক সময়ই সমস্যায় পড়ছেন পাইলটরা। এতে অসংখ্য যাত্রীদের জীবন সংশয় হতে পারে। তাই এবার থেকে বিমানবন্দর সংলগ্ন সাতটি থানা এলাকায় সন্ধ্যের পর থেকে লেজার লাইট ব্যবহারে সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা জারি হল।
বিয়েবাড়ি সহ কোনও রকম সামাজিক অনুষ্ঠানে লেজার লাইট ব্যবহার করতে পারবে না হোটেল, ব্যাঙ্কোয়েট হলের মালিকরা। কেউ এই নির্দেশ অমান্য করলে ১৪৪ ধারার আওতায় শাস্তি দেওয়া হবে বলেও জানানো হয়েছে ওই নির্দেশিকায়। নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে, বাগুইহাটি, ইকো পার্ক-সহ বিমানবন্দরের আশেপাশের সমস্ত থানা এবং পুরসভাকে। পুরসভাগুলিও এই ব্যাপারে নজরদারি চালাবে বলে জানিয়ে দিয়েছে। আপাতত ১ মে থেকে ২৯ জুন পর্যন্ত এই নির্দেশিকা কার্যকর থাকবে। উল্লেখ্য, একই কারণে ২০২২ সালে দুর্গাপুজোয় শ্রীভূমির মণ্ডপে লেজার শো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল।
Discussion about this post