দল তাঁর উপর এখনও আস্থা রেখেছে শুনে তিনি খুশি। কিন্তু জেলার নেতারা যাঁরা এক সময় তাঁর সামনে সাহস করে দাঁড়াতে পারতেন না তাঁরা এখন ছড়ি ঘোরাচ্ছেন। অনুব্রত মণ্ডল নামটা জেলা থেকে মুছে দিতে চাইছেন। এমন খবরই পেয়েছেন কেষ্ট। বোলপুর লোকসভা কেন্দ্রের এক তৃণমূল কংগ্রেস নেতার সঙ্গে সম্প্রতি জেলে কথা হয় কেষ্টর। বীরভূম থেকে কয়েক হাজার কিলোমিটার দূরে বসে দিন কাটাচ্ছেন বীরভূমের দোর্দন্ডপ্রতাপ তৃণমূল নেতা অনুব্রত মন্ডল। তিহারের জেলে বন্দী জীবন কাটাচ্ছেন কেষ্ট। কিন্তু তার মানে এই নয় যে, নিজের রাজত্বপাটের কিছুই খবরাখবর পান না তিনি , রাখেন না তিনি। সেখান থেকেই জেলার রাজনীতি, রাজ্য রাজনীতি, দেশের রাজনীতির হালহাকিকত জানতে পারেন তিনি।
প্রয়োজনে দেখা করতে যাওয়া মানুষদের কাছ থেকেও খবরাখবর নেন। এবার তাঁদের মারফতই নয়া বার্তা দিলেন ‘আমায় ফিরতে দে, তারপর যা বলার বলব’। রিপোর্ট নিচ্ছেন জেলার নেতাদের কে করছেন, কে কি বলছেন, কে কি ভাবছেন। আর সেখানেই কিছু বিদ্রোহের আভাস পেয়েছেন তিনি। ভুললে চলবে না, তিনি এখনও খাতায়কলমে জেলা তৃণমূলের সভাপতি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখনও তাঁকে সেই পদে রেখে দিয়েছেন এবং সেখান থেকে তাঁকে সরিয়ে দেওয়ার কোনও ইঙ্গিত দেননি। কিন্তু কেষ্ট জানতে পেরেছেন, দিদিমণির এই সিদ্ধান্তের পরেও জেলার কিছু কিছু নেতা নিজেদের নিজের নিজের এলাকার স্বঘোষিত জমিদার ভেবে নিয়েছেন। সেখানে তাঁরা নিজেদের মতো করে দল চালাতে চাইছেন। এমনকি প্রকাশ্যে না হলেও চার দেওয়ালের অন্তরালের কেষ্ট’র বিরোধিতার পথেও হাঁটতে চাইছেন।
উল্লেখ্য, গরু পাচার মামলায় বহুদিন জেলবন্দি বীরভূমের বাঘ অনুব্রত মণ্ডল। সেই ২০২২ এর মাঝের দিকে গরু পাচার কাণ্ডে সিবিআই এর হাতে গ্রেফতার হন দাপুটে নেতা অনুব্রত ওরফে কেষ্ট মণ্ডল। বাংলার সীমানা পেরিয়ে এখন তার ঠিকানা দিল্লির তিহাড় জেল। দীর্ঘ এই সময়ের মধ্যে বহু বার জামিনের আর্জি জানান কেষ্ট। তবে কোনও বারই সুরাহা মেলেনি।
Discussion about this post