দক্ষিণ ২৪ পরগণার মথুরাপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী এবং তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে অবশেষে এফআইআর দায়ের হল। কলকাতা হাইকোর্টের ধমক খেয়ে মথুরাপুর থানা এফআইআর গ্রহন করেছে। তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, একই রাস্তায় তিনবার কাজ দেখিয়ে টাকা তুলেছেন। স্থানীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে, মথুরাপুর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী বাপি হালদারের স্ত্রী শিলি হালদার কৃষ্ণচন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান থাকাকালীন এই দুর্নীতি করেছিলেন। কৃষ্ণচন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বর্তমান প্রধান বিজেপির অনুপ মিস্ত্রি এই অভিযোগ করেন। তিনি মথুরাপুর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী বাপি হালদার এবং তাঁর স্ত্রী প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধান শিলি হালদারের বিরুদ্ধে মথুরাপুর এক ব্লকের বিডিও, ডায়মন্ড হারবারের মহকুমা শাসক এবং দক্ষিণ ২৪ পরগণার জেলাশাসকের কাছেও অভিযোগ জানান। কিন্তু কোনও পক্ষই অভিযোগের তদন্ত করছিলেন না বলে দাবি বিজেপির পঞ্চায়েত প্রধানের। এরপরই তিনি কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন।
গত ১২ এপ্রিল কলকাতা হাইকোর্ট এই বিষয়ে মথুরাপুর থানার ওসিকে শোকজ করেন কেন মামলা রুজু হয়নি এখনও এই প্রশ্ন তুলে। সূত্রের খবর, কলকাতা হাইকোর্টের ধমক খাওয়ার পর মথুরাপুর থানা তৃণমূল প্রার্থী বাপি হালদার এবং তাঁর স্ত্রী শিলি হালদার-সহ ৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে। তাঁদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪০৯, ১২০বি ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। কৃষ্ণচন্দ্রপুরের পঞ্চায়েত প্রধান অনুপ মিস্ত্রি দাবি করছেন ব্যাপক আর্থিক দুর্নীতি হয়েছে রাস্তা তৈরি এবং মেরামত দেখিয়ে। তিনি শুধু তদন্তই নয়, দোষীদের অবিলম্বে গ্রেফতারির দাবিও করছেন। তবে সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী মথুরাপুরের তৃণমূল প্রার্থী বাপি হালদার। তাঁর দাবি, কোনও দুর্নীতি হয়নি, বিজেপি এখন এরকম অনেক অভিযোগ করে আমাদের বদমান করতে চাইছে।
Discussion about this post