সম্প্রতি বারুইপুরের ঘটনায় পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী কিছু ব্যক্তির ছবি প্রকাশ করে দাবি করেছেন যে, তার ওপর হামলার সঙ্গে এরা জড়িত। তার অভিযোগ অনুযায়ী, এই ব্যক্তিরা তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী এবং তাদের পাঠিয়েছেন শাসকদলের শীর্ষ নেতৃত্ব। শুভেন্দু অধিকারী ও তার দলীয় সদস্য শঙ্কর ঘোষ সহ মোট ৪০ জন বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে বারুইপুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের হয়েছে। অভিযোগকারীর দাবি, তারা পরিকল্পিতভাবে বারুইপুরে দাঙ্গা বাঁধানোর চেষ্টা করেছিলেন। যদিও এই অভিযোগ তৃণমূলের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে করা হয়নি, তবে বারুইপুরের এক সাধারণ নাগরিক এই অভিযোগ দায়ের করেছেন বলে জানা গেছে।
শুভেন্দু অধিকারীর প্রকাশিত ছবির অন্যতম ব্যক্তি হলেন শাহজাহান আলি সর্দার, যিনি মল্লিকপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের গ্রাম সভার সদস্য। শাহজাহান সর্দার নিজে স্বীকার করেছেন যে, তিনি সেদিন দলের নির্দেশে কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছিলেন এবং লোকজন নিয়ে গিয়েছিলেন। তবে তিনি সরাসরি শুভেন্দু অধিকারীর ওপর হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি দাবি করেছেন, যদি এমন কিছু ঘটে থাকে, তাহলে তার ভিডিও প্রকাশ করা হোক। পাশাপাশি, তিনি শুভেন্দু অধিকারীকে বারুইপুর পশ্চিম বিধানসভা কেন্দ্র থেকে বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে নির্বাচনে দাঁড়ানোর চ্যালেঞ্জ জানিয়েছেন।
অন্যদিকে, শুভেন্দু অধিকারী যে আরেকজন অভিযুক্ত হবিবুর রহমান বৈদ্যর ছবি প্রকাশ করেছিলেন, তিনি বারুইপুর পশ্চিম বিধানসভার মল্লিকপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান। তবে হবিবুর রহমান বৈদ্য জানিয়েছেন যে, তিনি সেদিন শারীরিক অসুস্থতার কারণে কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচিতে অংশ নেননি। তিনি শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার চালানোর অভিযোগ এনে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন যে, তিনি মানহানির মামলা করবেন। শুভেন্দু অধিকারী আরও কিছু ব্যক্তির ছবি দেখিয়ে দাবি করেছেন যে, তারা হামলার সঙ্গে যুক্ত। তাদের মধ্যে অন্যতম মোজাফফর আহমেদ, যিনি বারুইপুর পৌরসভার দশ নম্বর ওয়ার্ডের পৌরপিতা। তবে তিনি এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাননি। অপর একজন, বাপন গাজী, যিনি অভিযুক্তদের তালিকায় ছিলেন, তাকে শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি।
Discussion about this post