পূর্ব মেদিনীপুরের কেশপুরের পর ফের বিজেপির ওপর হামলার অভিযোগ। শনিবার বিজেপির প্রচার গাড়িতে হামলার পাশাপাশি গাড়ি ভাঙচুর করা হয় বলে অভিযোগ। শুধু তাই নয়, ২ বিজেপি কর্মী সমর্থকদের ব্যাপক মারধর করে দুষ্কৃতিরা। এদিনের হামলার ঘটনায় তৃণমূলকেই কাঠগোড়ায় তুলেছে গেরুয়া বিগ্রেড। ঘটনা ঘিরে উত্তেজনা হুগলি আরামবাগ গোঘাটের নকুণ্ডা পঞ্চায়েতের কোটা এলাকায়। বিজেপির অভিযোগ, এদিন কোটা এলাকায় জনসংযোগ চলার সময় আচমকাই তৃণমূলের ২০-২৫ জন সমর্থক লাঠি বাঁশ নিয়ে তাদের উপর চড়াও হয়। এমনকি এলোপাথাড়ির লাঠির আঘাতে বিজেপির প্রচার গাড়ি ভাঙচুর করে তারা। সেইসঙ্গে প্রচারে থাকা বিজেপির কর্মীদেরকে গাড়ি থেকে টেনে নামিয়ে মারধর করে বলে অভিযোগ। শুধু লাঠি বাঁশ দিয়ে আঘাত করেও থেমে থাকেনি দুষ্কৃতি। সঙ্গে চর থাপ্পড় মারা হয় বলেও অভিযোগ পদ্ম শিবিরের। ঘটনাস্থলে আহত হন ২ বিজেপি কর্মী সমর্থক। এমনকি তাদের প্রাণে মারার হুমকি দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ। এরপরই দোষীদের শাস্তির দাবি তুলে গোঘাট থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে বিজেপি সমর্থকদের । ঘটনায় বিজেপির তরফে তোলা তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ অস্বীকার করেছে ঘাসফুল শিবির।
প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশপুর ব্লকের ৬ নং অঞ্চল জগন্নাথপুর বাজার এলাকায় জনসংযোগে গিয়েছিলেন বিজেপি প্রার্থী অভিনেতা হিরন্ময় চট্টোপাধ্যায়। বাজার এলাকায় পৌঁছাতেই অভিনেতা প্রার্থীর গাড়ি লক্ষ্য করে বাঁশ , লাঠি নিয়ে হামলা চালায় বলে অভিযোগ। পুলিশের সামনেই তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতির এই হামলা চালায়। শুধু তাই নয়, নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করেছে পুলিশ। এমনই দাবি তারকা প্রার্থী হিরন্ময়ের। এছাড়াও তিনি আরও অভিযোগ করেছেন, তৃণমূলের প্রার্থী তথা অভিনেতা দেব বলেছিলেন ১০ থেকে ২০ তারিখের মধ্যে বিজেপি কর্মী খুন হতে পারে। তাই কালকে মন্ডল সভাপতির উপর আক্রমণ হয়েছে। আর আজ ফের হামলা করা হল প্রার্থীর উপর। এ বিষয় তিনি তীব্র ধিক্কার জানিয়েছেন পুলিশকে। গণ্ডোগোলের সময় পাল্টা বিজেপি কর্মীরা তাড়া করলে ঘটনাস্থল থেকে তৃণমূল কর্মীরা পালিয়ে যায়।
Discussion about this post