সুন্দরবনের প্রত্যন্ত দ্বীপাঞ্চল গোসাবা ক্রমশ তীব্র পানীয় জলের সংকটে ভুগছে। প্রশাসনের তরফে জলের পরিশোধন করে সরবরাহের ব্যবস্থা থাকলেও, তা পর্যাপ্ত নয়। অবিলম্বে সমস্যা সমাধানের দাবী সব মহল থেকেই।
চারিদিকে বিস্তীর্ণ নোনাজলের নদী, মাঝখানে অবস্থিত দ্বীপে ভূগর্ভস্থ মিষ্টি জলের স্তর প্রায় নেই বললেই চলে। সুন্দরবনের প্রত্যন্ত দ্বীপাঞ্চল গোসাবা ক্রমশ তীব্র হচ্ছে পানীয় জলের সংকট। প্রশাসনের তরফে জলের পরিশোধন করে সরবরাহের ব্যবস্থা থাকলেও, তা পর্যাপ্ত নয় বলেই জানাচ্ছেন এলাকাবাসী। স্থানীয়দের অভিযোগ, একেকবার জল আসে পাঁচ থেকে ছ’দিন পর। আর যেটুকু জল পাওয়া যায়, তা এতটাই কম যে, অনেকেই সেই জল পান করতে পারেন না। পরিস্থিতি এমন যে, জল আনতে যেতে হচ্ছে এক কিলোমিটার বা তারও বেশি দূরের গ্রামে, ক্ষোভ এলাকার মানুষের। স্থানীয় পঞ্চায়েত থেকে প্রশাসনিক আধিকারিকদের একাধিকবার জানানো হলেও পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি বলে অভিযোগ।
এলাকার বাসিন্দারা জানালেন, একাধিক পরিবারে অসুস্থ বৃদ্ধ ও শিশুদের নিয়ে বিপাকে পড়েছেন। তাই প্রতিদিনের রুটিনে পানীয় জল জোগাড় করাই যেন এখন প্রধান কাজ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
গোসাবার এই অঞ্চলের মানুষ দীর্ঘদিন পানীয় জলের সমস্যায় ভুগছেন। কত ৩৪ বছর বামফ্রন্ট সরকার এই অঞ্চলের মানুষের জন্য কিছুই করেনি। বর্তমান সরকারের ১৪ বছরে এরা সব লুটপাট করে খেয়ে নিয়েছে। কেন আজও পর্যন্ত গোসাবার মানুষের জন্য পানীয় জলের সমস্যার সমাধান করা যায়নি প্রশ্ন তুললেন বিজেপি নেতা।
পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির বক্তব্য গোসাবার এই অঞ্চলের মানুষ পানীয় জলের সমস্যায় রয়েছে সেটা সমাধানের চেষ্টা করছে সরকার অচিরেই সমস্যার সমাধান হবে বলে জানালেন তিনি।
Discussion about this post