ফুঁসছে তিস্তা, এখনও আটকে প্রায় দেড় হাজার পর্যটক, বৃষ্টির পূর্বাভাসে ভয় বাড়াচ্ছে সিকিম। লাগাতার বৃষ্টিতে ধসের জেরে বিপর্যস্ত উত্তর সিকিম। পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছেছে যে, পর্যটনের জন্য বিখ্যাত লাচুংয়ের সঙ্গে গোটা রাজ্যেরই যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। রাজ্য সরকার জানিয়েছে, বিপর্যয়ের জেরে সিকিমে এখনও ১২০০ পর্যটক আটকে রয়েছেন। বিদেশি ১৫ জন। তাঁদের মধ্যে ১০ জন বাংলাদেশের, তিন জন নেপাল ও দু’জন তাইল্যান্ডের বাসিন্দা। তাঁদের কী ভাবে দ্রুত উদ্ধার করা সম্ভব, আপাতত তাই নিয়ে চিন্তিত প্রশাসন। ক্রমশ ভয়াবহ আকার নিচ্ছে উত্তরবঙ্গের বন্যা পরিস্থিতি।প্রবল বৃষ্টির জন্য জমা জলে এখনো উত্তর সিকিমে আটকে প্রায় ১২০০ পর্যটক।
যুদ্ধকালীন তৎপরতায় উদ্ধার কাজ চালাচ্ছে প্রশাসন। একদিকে পাহাড়ের পাশাপাশি সমতলে ও বাড়ছে বৃষ্টির পরিমাণ।
শুক্রবার বিকেলের পর থেকে সিকিমের পাহাড়ে বৃষ্টির পরিমাণ কিছুটা কম হলেও সমতলের ক্রমশ বৃষ্টি পরিমান বাড়ছে। তিস্তা নদীর জল কিছুটা কমলেও চিন্তা কমেনি প্রশাসনের। আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে যেমনটা জানা যাচ্ছে সিকিম এবং বাংলার পার্বত্য এলাকায় বাড়ি থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কালিম্পং প্রশাসন ইতিমধ্যেই নিচু এলাকার মানুষজনকে নিরাপদ স্থানে নিয়ে গেছে। যাতে তিস্তার জল বাড়লেও, ক্ষয়ক্ষতি কম হয় সেদিকে নজর দেওয়া হয়েছে।
পাহাড়ে বৃষ্টির কারণে ১০ নম্বর জাতীয় সড়কে ভারী যান চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। পাশাপাশি তিস্তা বাজার হয়ে দার্জিলিং যাওয়ার রাস্তা বন্ধ রয়েছে। জানানো হয়েছে, ছোট গাড়ি আপাতত মানসং-১৭ মাইল-আলগাড়া-লাভা-গরুবাথান হয়ে শিলিগুড়ি যাতায়াত করতে পারবে। তুলনামূলক বড় এবং ভারী গাড়িগুলি পেডং-আলগাড়া-লাভা-গরুবাথান হয়ে শিলিগুড়ি পৌঁছতে পারবে। পাশাপাশি কালিম্পং থেকে দার্জিলিং যাওয়ার জন্য ২৭ মাইল থেকে তিস্তা ভ্যালি হয়ে পৌঁছনো যাবে বলে জানিয়েছে প্রশাসন। উল্লেখ্য, গত তিন চারদিন ধরে লাগাতার বর্ষণ চলছে সিকিমে। প্রবল বর্ষণে সিকিমের একাধিক জায়গায় ধস নামে। গত সোমবার সিকিমে ধসের কারণে প্রাণ হারায় তিন বাসিন্দা।
এখনও উত্তর সিকিমে একাধিক জায়গা ধসে বিধ্বস্ত। একেবারেই লণ্ডভণ্ড পরিস্থিতি। জায়গায় জায়গায় আটকে আছেন প্রায় ১২০০ পর্যটক। মোবাইল নেটওয়ার্ক বসে যাওয়ায় তাঁদের সঙ্গে পরিজনদের যোগাযোগ কার্যত বিচ্ছিন্ন। খারাপ আবহাওয়ায় উদ্ধার কাজ ব্যাহত হচ্ছে। প্রবল বৃষ্টিতে ফুঁসছে তিস্তা। তিস্তার জল বেড়ে যাওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হয় কালিম্পং জেলার তিস্তা বাজার এলাকায়। তবে তিস্তা বাজার এলাকায় পরিস্থিতি একপ্রকার নিয়ন্ত্রণে বলে জানাল প্রশাসন।
Discussion about this post