নকল সোনার মূর্তি বেচে দিতেন অনায়াসে। তার অঙ্গুলিহেলনেই কুলতলির পয়তারহাট হয়ে উঠেছিল নকল সোনার গুহা। মূল অভিযুক্ত সাদ্দাম সর্দারের বাড়িতে খোঁজ মিলল সুরঙ্গের। রীতিমতো ঘরের মধ্যে সুরঙ্গ। খাটের নীচে থাকা সুরঙ্গটি এতদিন ছিল লোকচক্ষুর আড়ালে। সাদ্দাম সর্দারের কুকীর্তি সামনে আসতেই চক্ষুচড়কগছ সকলের। এই সুরঙ্গের নীচে রয়েছে খাল। অন্ধকার সুরঙ্গের পথ বেয়ে অনায়াসে চলে যাওয়া যেত জয়নগরে। খাল পাড় হতে ছোট্ট নৌকার বন্দোবস্তও ছিল। অর্থাৎ বেকায়দায় পড়লেই পগারপার। চোখে ধূলো দেওয়া যেত অনায়াসে। যদিও বাড়ির লোকেদের দাবি সাদ্দাম অত্যন্ত ভালো লোক। বিনা কারণেই তার পেছনে পড়েছে প্রশাসন।
কুলতলির পয়তারহাট গ্রামে দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে নকল সোনার কারবার চালাচ্ছিলেন সাদ্দাম সর্দার। এই কারবারে জড়িত ছিল তার ভাই সায়রুল-সহ গোটা পরিবার। কুলতলির পয়তারহাট গ্রাম হয়ে উঠেছিল নকল সোনার কারবারিদের মুক্তাঞ্চল। পুলিশ সূত্রে খবর, এই গ্যাংয়ের মাথায় ছিল ২ জন, ছাকাত ও বোটো। সাদ্দামের ভাই সায়রুল ও ছাকাতের ছেলে শাহজাহানকে সামনে রেখে প্রতারণার কারবার চলত। এদের নীচে ছিল আরও জনা ২৫ যুবক। জানা যাচ্ছে টোটাল অপারেশনে মহিলাদের ঢাল হিসেবে ব্যবহার করা হোত। পয়তারহাট গ্রামে পুলিশি অভিযানের পর গোটা গ্যাং-ই পলাতক। শুধুমাত্র নকল সোনা নয়। জাল নোটেরও কারবার ছিল সাদ্দামের। এক নয় দুই নয়। এতগুলো বছর ধরে প্রশাসনের চোখে ধূলো দিয়ে নকল সোনার কারবার চালিয়ে গিয়েছে সাদ্দাম। কী ভাবে সম্ভব? ? যাবতীয় প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে ছানবিন শুরু করেছে পুলিশ। আপাতত তাদের লক্ষ্য সাদ্দাম সর্দারকে খুঁজে বের করা। এরপর আগামীদিনে অভিযুক্ত সাদ্দাম সর্দারের কাছ থেকে কোন রাঘববোয়ালের নাম উঠে আসে কিনা সেটাই এখন দেখার।
Discussion about this post