শেখ শাহজাহানের বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে উচ্চ আদালত। এবার সেই প্রসঙ্গ উত্থাপন করতেই সন্দেশখালির কাগুজে বাঘের দাবি সিবিআই তদন্ত হলেই ভালো। বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে শেখ শাহজাহানকে নিয়ে আসা হয়েছিল জোকা ইএসআই হাসপাতালে।
নিরুদ্দেশ হওয়ার প্রায় ৫৫ দিন পর সন্দেশখালির মিনাখাঁ থেকে গ্রেফতার হয়েছিলেন শেখ শাহজাহান। তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ রয়েছে। ইডি হামলা থেকে শুরু করে জমি, ভেড়ি দুর্নীতি। একের পর অভিযোগে রীতিমত নাস্তানাবুদ সন্দেশখালির কাগুজে বাঘ। রাজ্য পুলিশ থেকে সিআইডি, এরপর সিবিআই। এখন তিনি ইডি হেফাজতে। বৃহস্পতিবার তাঁকে রুটিন চেকআপের জন্য আনা হয়েছিল জোকা ইএসআই হাসপাতালে। স্বাভাবিকভাবে শাহজাহানকে সামনে পেয়ে প্রশ্ন ছুড়ে দেন সাংবাদিকরা। এরপর তিনি যে উত্তরটা দিলেন, তাতে রীতিমত চমকে গিয়েছেন অনেকেই।
পুলিশের হাতে গ্রেফতার হওয়ার পর কার্যত বাদশাহী মেজাজে দেখা গিয়েছিল শাহজাহানকে। মিডিয়ার দিকে আঙুল তুলেও তাঁকে ইশারা করতে দেখা গিয়েছিল। সিবিআই এর হেফাজতে যাওয়ার পর কার্যত সেই মেজাজ এখন মিইয়ে গিয়েছে অনেকটাই। আর সেই শাহজাহান কিনা সিবিআই তদন্তের সপক্ষে কথা বলছেন। কিন্তু কেন? এখানেই রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা অন্য গন্ধ পাচ্ছেন।
ভোটের মুখে বিরোধী দলগুলির প্রচারের অন্যতম ইস্যু সন্দেশখালি পর্ব। যা কিনা শুরু ও শেষ হচ্ছে শেখ শাহজাহানকে দিয়ে। গোটা পর্ব জুড়েই শাহজাহান ও তার শাগরেদদের অত্যাচার-আর নিপিড়নের কাহিনী। বাম আমল থেকে উঠে আসা শেখ শাহজাহানের এত প্রভাব প্রতিপত্তি বাড়ল কোন যাদুমন্ত্রে? প্রশ্ন উঠতেই স্বাভাবিকভাবে তৃণমূলের ১৩ বছরের শাসনকালের দিকে আঙুল তুলছে বিরোধীপক্ষ। পাশাপাশি ভোটমুখী রাজ্যে তিনি যে রাজনীতির বলি হচ্ছেন তা অস্বীকার করা যাচ্ছে না। তাঁর চওড়া পিঠের আড়ালে আসল শাহজাহানরা আশ্রয় খুঁজছেন। মনে করছেন সাধারন মানুষ থেকে রাজনীতির কারবারিরা। এবার কি সিবিআই তদন্তের সপক্ষে কথা বলে সেই বড় মাথাদেরই হদিশ দিতে চাইলেন সন্দেশখালির কাগুজে বাঘ। উঠছে প্রশ্ন?
বাংলায় জনসংখ্যার বিপজ্জনকভাবে রূপান্তর হচ্ছে। দশ বছরে ৪৬টি বিধানসভা এলাকায় ভোটার সংখ্যা ৪০ শতাংশেরও বেশি বেড়েছে। এর মধ্যে ৭টি আসনে...
Read more
Discussion about this post