দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে ট্র্যাকে ফেরাতে ভারতের সঙ্গে মিলে কাজ করতে চায় চিন। মঙ্গলবার এমনটাই বলল চিনের বিদেশ মন্ত্রক। উল্লেখ্য, আজ চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই-র সঙ্গে বৈঠক হওয়ার কথা ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের। আর তার আগেই চিনের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র লিন জিয়ান বলেন, ‘আমাদের দুই দেশের মধ্যে বোঝাপড়া বাস্তবায়ন, একে অপরের মূল স্বার্থ এবং প্রধান উদ্বেগকে সম্মান করা, আলোচনা ও যোগাযোগের মাধ্যমে পারস্পরিক আস্থা স্থাপন করা, আন্তরিকতা ও সরল বিশ্বাসের সাথে যাবতীয় পার্থক্যের নিষ্পত্তি করাই মূল লক্ষ্য আমাদের নেতাদের। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে স্থিতিশীল ও স্বাস্থ্যকর উন্নয়নের পথে ফিরিয়ে আনতে চিন ভারতের সাথে কাজ করতে প্রস্তুত।’ উল্লেখ্য, ভারত-চিনের মধ্যকার ২৩তম বিশেষ প্রতিনিধি বৈঠকে বসতে চলেছেন অজিত ডোভাল এবং ওয়াং ই। ২০১৯ সালের ডিসেম্বরের পর এই প্রথম এই পর্যায়ের বৈঠক হচ্ছে দুই দেশের মধ্যে। জানা গিয়েছে, ডোভাল এবং ওয়াংয়ের মধ্যে বৈঠকে বহুপাক্ষিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে। এদিকে এই নিয়ে ভারতের বিদেশ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দুই দেশের প্রতিনিধিরা সীমান্ত অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতা ফেরানো নিয়ে আলোচনা করবেন। সীমান্ত ইস্যুতে তারা ন্যায্য, যুক্তিসঙ্গত এবং পারস্পরিক গ্রহণযোগ্য সমাধান সূত্রের সন্ধান করবেন। প্রসঙ্গত, বিগত কয়েক বছর ধরেই ডেপস্যাং এবং ডেমচকে ভারতীয় সেনাকে টহলে বাধা দিচ্ছিল চিনের পিপলস লিবারেশন আর্মি বা পিএলএ। তবে রিপোর্টে দাবি করা হয়, এই দুই জায়গায় ভারতীয় সেনার টহলদারির অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়েছে ২০২৪ সালের অক্টোবর থেকে। তবে জানা গিয়েছিল, ডেপস্যাঙের ওয়াই জংশনে স্থায়ী স্থাপত্য গড়েছে চিনা সেনা। এই ওয়াই জংশন হয়েই প্যাট্রলিং পয়েন্ট ১১, ১১এ, ১২ এবং ১৩-তে যেতে হয় ভারতীয় সেনাকে। উল্লেখ্য, লাদাখের ডেপস্যাং এবং ডেমচকে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় সেনা প্রত্যাহার হয়েছে দিওয়ালির আগেই। ভারত ও চিন, দুই দেশের সেনাই যৌথ ভাবে সেখানে ‘যাচাই পর্ব’ চালিয়েছে। জানা গিয়েছে, ২০২০ সালের এপ্রিলের আগে যেখানে যার অবস্থান ছিল, প্রায় সেখানেই ফিরে গিয়েছে ভারত ও চিনা সেনার জওয়ানরা। এই আবহে লাদাখে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এর আগে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার কাছে যে সব অস্থায়ী তাঁবু খাটানো হয়েছিল, তা খুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এই আবহে সেনা প্রত্যাহারের প্রক্রিয়া দুই পক্ষের তরফ থেকই সঠিক ভাবে সম্পন্ন করা হয়েছে কি না, তা নিশ্চিত করতেই ‘ভেরিফিকেশন’ চলেছিল।এদিকে বাংলাদেশের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে চীন। একইসঙ্গে বাংলাদেশে সোলার প্যানেলে বিনিয়োগ এবং ঢাকার সঙ্গে বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরো গভীর করতে আগ্রহী বাংলাদেশ। অন্যদিকে, চীনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক এবং দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়নের উপর জোর দিয়েছেন অন্তবর্তী সরকার। তিনি বলেছেন, চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কের ‘নতুন একটি অধ্যায়’ খুলতে চাই।
বাংলাদেশের পলাতক সাংবাদিক ইলিয়াস হোসেন সম্প্রতি এক ফেসবুক পোস্টে মেজর সুমন আহমেদ এর উদ্ধৃতি দিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন, ভারত কি বাংলাদেশ...
Read more
Discussion about this post