দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর অবশেষে গত সপ্তাহে কনকনে শীতের দেখা মিলেছিল বাংলায়। দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে যদিও দিনকয়েক আগে থেকেই শীতের মরশুম। তবে হাওয়া অফিস বলছে, ভরা শীতের মরসুমে বাড়বে তাপমাত্রা। আর কবে পড়বে জাঁকিয়ে শীত? এখন রাজ্যবাসীর মনে এই প্রশ্নই গত দুই দিন ধরে।
হাওয়া অফিস আগেই সাগরে নতুন করে নিম্নচাপ সৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে। দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও সংলগ্ন দক্ষিণ আন্দামান সাগরে তৈরি হয়েছে ঘূর্ণাবর্ত। দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে এই ঘূর্ণাবর্ত নিম্নচাপে পরিণত হবে। যার অভিমুখ থাকবে ফের তামিলনাড়ু উপকূলের দিকে। নতুন করে পশ্চিমী ঝঞ্ঝা তৈরি হয়েছে উত্তর-পশ্চিম ভারতে। এর ফলে সোম ও মঙ্গলবার তুষারপাতের সম্ভাবনা থাকছে উত্তর-পশ্চিম ভারতের পার্বত্য এলাকায়।
আজ ১৭ ডিসেম্বরের পর থেকে, আগামী কয়েকদিনে রাজ্যের জেলায় জেলায় শীত বৃদ্ধির পরিবর্তে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে ২ থেকে ৪ ডিগ্রি পর্যন্ত। শৈত্যপ্রবাহের কোনও সতর্কতা আর নেই । বুধবার থেকে আংশিক মেঘলা আকাশ এবং শনিবার পর্যন্ত তাপমাত্রার পরিবর্তন না-হওয়ার সম্ভাবনা ৷ শুক্র ও শনিবার বৃষ্টির পূর্বাভাস। বৃষ্টি হতে পারে কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, উত্তর ও দক্ষিণ২৪পরগনা, পূর্ব বর্ধমান, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর এবং ঝাড়গ্রামে ৷ আজ ঘনকুয়াশা থাকবে পূর্ব-পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ এবং নদীয়া জেলাতে। বুধবার ঘনকুয়াশা সতর্কবার্তা রয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুর, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া এবং পশ্চিম বর্ধমানে।
রাতের দিকে দুই বঙ্গেই তাপমাত্রা বৃদ্ধির সম্ভাবনা। উত্তরবঙ্গেও হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা সপ্তাহের শেষে ৷ শুধুমাত্র দার্জিলিং ও কালিম্পং পার্বত্য এলাকাতেই বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস। উত্তরবঙ্গে ঘন কুয়াশার সতর্কবার্তা রয়েছে । আজ ঘনকুয়াশা থাকবে দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর এবং মালদা জেলাতে। বুধবার ঘনকুয়াশার সতর্কবার্তা রয়েছে দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার এবং উত্তর দিনাজপুরে ৷
মঙ্গলবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের চেয়ে সামান্য কম। সোমবার শহরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৩.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। মঙ্গলবার ১৫ থেকে ২৫ ডিগ্রির মধ্যেই শহরের দিনভর তাপমাত্রা থাকার সম্ভাবনা।
Discussion about this post