বাবা মাকে ছাড়া এই প্রথম মন খারাপের আবহেই দুর্গাপুজো হচ্ছে সুদীপা চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে। প্রতি বছরই মহা সমারহে ধুমধাম করে তাঁর বাড়িতে পুজো হয়ে আসছে। আলোয় সেজে ওঠে গোটা চট্টোপাধ্যায় বাড়ি। বসে তারকাদের মেলা। কিন্তু আরজিকর আন্দোলনের আবহে আন্দোলনরত কলকাতা। তার মাঝে এ বছরই নিজের মাকে হারিয়েছেন সুদীপা। তাই এবার পুজোয় ধুমধাম অনেকটাই কম হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
উল্লেখ্য, এর আগে ঢাকার বিক্রমপুরে আদিবাড়িতে হত এই চট্টোপাধ্যায় বাড়ির পুজো। তবে বিগত বেশ কিছু বছর আগে সেই পুজো কলকাতায় নিয়ে এসেছেন সুদীপা ও তার স্বামী অগ্নিদেব।
ষষ্ঠী থেকে দশমী এই পুজোয় চলে খাওয়া দাওয়া, হইচই । অতিথি আপ্যায়নেও কোনো ত্রুটি রাখেন না সুদীপা। তবে এবারে সেসব কিছুই হচ্ছে না বলে আগেই জানিয়েছিলেন সুদীপা।
সুদীপার বাড়ির পুজোয় ভোগেও থাকে বেশ এলাহী ব্যবস্থাপনা। জানা গিয়েছে, পূজোর একেক দিন একেক রকম চাল দিয়ে ভোগ দেওয়া হয় মা দুর্গাকে। বাংলাদেশের বাড়ি থেকে আসে বিশেষ চাল। এই বাড়ির পুজোর ভোগে থাকে একটি বিশেষ নিয়ম। অষ্টমীতে সন্ধি পুজোর পর থেকে আমিষ ভোগ দেওয়া হয় মাকে। নবমীতে পদ্মার ইলিশ দেওয়া হয় মাকে। আর দশমীতে ভোগে থাকে গঙ্গার ইলিশ।
সুদীপার বালিগঞ্জ প্লেসের বাড়িতে নিয়মরীতি মেনে পূজিতা হন মা দুর্গা। সোনার গয়নায় সাজেন মা দুর্গা, পায়ের নুপূর থেকে মাথার মুকুট পর্যন্ত সোনার গয়নায় স্বালংকারা মা। হাতের অস্ত্র শস্ত্র রূপোর। পঞ্চমীর দিন চট্টোপাধ্যায় বাড়িতে আগমন হয় মায়ের। প্রতি বছরই সাবেকি সাজে মাকে বরণ করে ঘরে তোলেন সুদীপা চট্টোপাধ্যায়।
কিন্তু পূজোর আগেই সুদীপা জানিয়ে দিয়েছিলো অন্যান্য বারের তুলনায় এবার জাঁকজমক অনেকটাই কম হবে তার বাড়ির পুজোয়।পুজোটা হবে ঠিকই, সমস্ত নিয়ম মেনেই পুজো করবেন। কোনো ত্রুটি রাখবেন না। তবে ধুমধাম ও জাঁকজমক বন্ধ থাকবে এই বছর পুজোয়।
Discussion about this post