সন্দেশখালির বিজেপি নেত্রী রেখা পাত্রের উদ্দেশে কুমন্তব্যের অভিযোগ প্রসঙ্গে দুঃখপ্রকাশ করলেন তৃণমূল নেতা তথা রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। তাঁর বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার সন্দেশখালি থানায় অভিযোগ করেছিলেন রেখা। সন্দেশখালির রাস্তায় ফিরহাদের অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভও দেখান তাঁরা। নিজের মন্তব্যের ব্যাখ্যা দিয়ে ফিরহাদ বলেন, “নারীদের আমি মাতৃরূপে দেখি। রেখা পাত্রকে আমি ভদ্রমহিলা বলে সম্বোধন করেছি। হেরো ভূত, হেরো মাল- এই কথাগুলো বিজেপিকে বলেছি। তারপরও যদি কারও মনে লেগে থাকে তাহলে আমি দুঃখিত।” তিনি আরও বলেন, “আমি মহিলাদের অপমান করার কথা দুঃস্বপ্নেও ভাবতে পারি না। আমার নেত্রী, আমার মা, আমার স্ত্রী, আমার তিন কন্যা, আমার নাতনি- সবাই নারী। আমি কোনও নারীকে অসম্মান করিনি।” তিনি উল্লেখ করেছেন, বাংলার মহিলাদের তিনি সম্মান করেন বলেই দুর্গা পুজো, কালী পুজো করেন। তবে এই বিতর্কে ফিরহাদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন মদন মিত্র। তাঁর বক্তব্য, “মাল বলার মধ্যে তো কোনও অন্যায় নেই। বিজেপি তো মাল-ই।” সম্প্রতি একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছিল। সেই ভিডিও-য় ফিরহাদ হাকিমকে বলতে শোনা যায়, “কয়েকদিন আগে এখানে এসেছিলেন দাড়িওয়ালা। আরে নামটা বলেন না দাড়িওয়ালার…নামটা হল নরেন্দ্র মোদী। কাঁদছিলেন…মেরে সন্দেশখালিকে মা…বেহেন…. সে কি কান্না রে বাবা! আপনাদের এখানে প্রার্থী দিয়ে দিল সন্দেশখালি থেকে। সেই ভদ্রমহিলা কোথায়? এইতো হাজি নুরুলের বিরুদ্ধে কেস করেছিল। হেরে গেল। হেরো মাল। কয়েক লাখ ভোটে হেরে গেল।” রাজ্যের রাজনীতি প্রতিনিয়তই পরিবর্তিত হচ্ছে এবং প্রতিদ্বন্দ্বিতা নতুন নতুন আকার নিচ্ছে। কিন্তু তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতার মধ্যেও ভাষার শালীনতা এবং নারীদের প্রতি সম্মান বজায় রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ফিরহাদ হাকিম এবং মদন মিত্রের এই মন্তব্য রাজনৈতিক বিতর্কের জন্ম দিয়েছে ঠিকই, কিন্তু এটি রাজনীতির মানসিকতার উন্নয়নের জন্য বড় একটি প্রশ্নচিহ্নও সৃষ্টি করেছে।
বাংলাদেশের পলাতক সাংবাদিক ইলিয়াস হোসেন সম্প্রতি এক ফেসবুক পোস্টে মেজর সুমন আহমেদ এর উদ্ধৃতি দিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন, ভারত কি বাংলাদেশ...
Read more
Discussion about this post