বাংলাদেশে হিন্দু-সহ ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের উপর হওয়া অত্যাচার নিয়ে সরব হয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তারপর থেকেই ওয়াকিবহাল মহলে জল্পনা, প্রেসিডেন্ট হলে কি শেখ হাসিনাকে হারানো গদি ফিরিয়ে দিতে চেষ্টা করবেন রিপাবলিকান নেতা? দীপাবলি উপলক্ষে বিশেষ বার্তা দিয়ে তিনি এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, “হিন্দু, খ্রিস্টান এবং অন্যান্য সংখ্যালঘুদের উপর হামলা চলছে বাংলাদেশে। লাগাতার আক্রমণ করে লুটপাট চালাচ্ছে দুষ্কৃতীরা। সবমিলিয়ে চূড়ান্ত অশান্তি। আমার নজরে থাকলে এমনটা কখনই হতে পারত না।”আমেরিকার হিন্দুদের সুরক্ষিত রাখার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন ট্রাম্প। বিশ্বজুড়ে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া, মানবাধিকারের মত বিষয়গুলোতে জোর দেয় ডেমোক্র্যাট প্রশাসন। কমালা হ্যারিস বা ডেমোক্র্যাটরা ক্ষমতায় এলে ব্যবসা-বাণিজ্য, সহযোগিতার জায়গাগুলো বাংলাদেশের জন্য সহজ থাকার সুযোগটা বেশি বলেই মনে করা হচ্ছে।যুক্তরাষ্ট্রের ইউলসন সেন্টারের দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক বিশেষজ্ঞ এবং লেখক মাইকেল কুগেলম্যানের মতে, কমালা হ্যারিস জয়ী হলে বর্তমান সম্পর্কের ধারাবাহিকতা ও সামঞ্জস্য বজায় থাকবে, কিন্তু ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হলে পরিস্থিতি ভিন্ন হতে পারে।তিনি মনে করেন, বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম দেশ, যেখানে যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনের ফলাফলের উপর ভিত্তি করে দু’দেশের সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আসতে পারে। ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর বাংলাদেশে ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার ঝুঁকিতে পড়বে। কারণ ড. ইউনূসের ক্ষমতায় আসা এবং তার অব্যবহিত পূর্বে বাংলাদেশে সংঘটিত গণঅভ্যুত্থানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের যে সরকার সমর্থন দিয়েছে, তারা ডেমোক্র্যাটিক। ডোনাল্ড হচ্ছেন তার প্রতিদ্বন্দ্বী রিপাবলিকান। উপরন্তু ট্রাম্পের সঙ্গে ভারতের বর্তমান শাসকগোষ্ঠী বিজেপি তথা নরেন্দ্র মোদির সম্পর্ক ভালো। অতএব, বাংলাদেশে যেহেতু ভারতের বিরাট স্বার্থ রয়েছে এবং ভারতের পছন্দের শাসক হিসেবে পরিচিত শেখ হাসিনাকে উৎখাত করা হয়েছে ডেমোক্র্যাটিক সরকারের সমর্থনে, অতএব ট্রাম্প জিতে গেলে বাংলাদেশে ভারত নাক গলানোর সুযোগ পাবে, যা ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারকে বিপদে ফেলবে।
গত ৫ আগস্ট বাংলাদেশে হাসিনা সরকারের পতন হয়েছে। মূলত বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে গণ অভ্যুত্থান সংগঠিত হয় বাংলাদেশে।...
Read more
Discussion about this post