নভেম্বরেই তুষারপাত সান্দাকফুতে! গত মরসুমের দিকে তাকালে এই খবরটায় অবাক হচ্ছেন সকলেই। বরফের সাদা চাদরে ঢাকল গোটা সান্দাকফু। সেই খবর চাউর হতেই আনন্দে আত্মহারা পর্যটকমহল।
কারণ অন্যান্য বছর ডিসেম্বরের আগে দার্জিলিং এর কোথাও তুষারপাত হয়না। তুলনায় বেশ কিছুটা আগেই এ বার তুষারপাত হলো সান্দাকফুতে।
উল্লেখ্য, নভেম্বরের শীতেই এ বার তুষারপাতের স্বাদ পেলেন পর্যটকরা। অক্টোবর মাসের শেষের দিকেই সিকিমে তুষারপাত হলেও সান্দাকফুতে ডিসেম্বরের দিকে তুষারপাত হতে পারে বলেই ধরে নিয়েছিলেন সকলে। গত বছর দার্জিলিং এ প্রথম তুষারপাত হয়েছিল ৭ ডিসেম্বর।
এ বার চলতি মরসুমে ২১ নভেম্বরেই তুষারে ঢাকল সান্দাকফু। বৃহস্পতিবার দুপুরে তুষারপাত চলাকালীন রাস্তায় বেরিয়ে বরফের উপরেই হাঁটাচলা করে বরফের সৌন্দর্য উপভোগ করেছেন সেখানকার পর্যটকরা ।
নভেম্বরের শুরু থেকেই পর্যটকদের ভিড় বাড়তে শুরু করেছে দার্জিলিং-সহ পাহাড়ের অন্যান্য অংশে। এবার মরসুমের প্রথম তুষারপাত হওয়ায় আগামী দিনগুলির জন্য আরও উচ্ছসিত পর্যটন ব্যবসায়ীরা। ডিসেম্বরের শুরুতে আরও জাঁকিয়ে শীত পড়লে বেশি তুষারপাতের সম্ভাবনাও জোড়ালো হবে সান্দাকফুতে, মনে করছেন স্থানীয়রা। ফলে তাঁরা ডিসেম্বরের শীতের দিকে তাকিয়ে আছেন।
আবহাওয়া দপ্তর জানাচ্ছে, দার্জিলিঙে গত সপ্তাহ থেকেই তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির নীচে নেমে গিয়েছিল। বৃহস্পতিবার সারাদিন তুষারপাতের সম্ভাবনা জারি ছিল সান্দাকফুতে।
শীতে পাহাড়ের অপরূপ সৌন্দর্যের পাশাপাশি তুষারপাতের লোভে বাড়তি পর্যটক যাবেন বলেও মনে করছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। দার্জিলিঙে তুষারপাতের কথা শুনে আরও বেশি করে পর্যটক ভীড় জমাবে দার্জিলিং এ। এখন সান্দাকফু বাদে আর বাকি পর্যটন এলাকা গুলোতে বরফের আশায় দিন গুনছেন পর্যটকরা।
Discussion about this post