হালকা শীতের স্পেল গায়েব, চড়েছিল তাপমাত্রা। ঘূর্ণিঝড় বিলীন হতেই বাংলার আবহাওয়ার আবারও রূপবদল। তবে চলতি সপ্তাহেই ফের শীতের স্পেল শুরু হবে। ডিসেম্বরের শুরুতেই তাপমাত্রার পারদ পতন হবে। ১৫ ডিসেম্বর থেকে জাঁকিয়ে শীতের প্রথম স্পেল। জেলায় জেলায় ভোরের দিকে জাঁকিয়ে ঠান্ডাও অনুভূত হবে।
দক্ষিণবঙ্গে মূলত পরিষ্কার আকাশ। পারদ পতনও লক্ষ্যণীয়। আগামী ৪৮ ঘন্টায় এরকমই তাপমাত্রার রূপ। শনিবারের পর আরো কিছুটা নামতে পারে তাপমাত্রা। আপাতত বৃষ্টির কোন সম্ভাবনা নেই আগামী চার-পাঁচ দিনে। উপকূল ও সংলগ্ন কিছু জেলায় আংশিক মেঘলা আকাশ। আজ মাঝারি কুয়াশার সতর্কতা উত্তর ২৪ পরগনা নদিয়া মুর্শিদাবাদ বীরভূম ও পশ্চিম বর্ধমান জেলাতে। শনিবার থেকে ধীরে ধীরে কমবে রাতের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। ২ থেকে ৩ ডিগ্রি পারদ পতন হতে পারে কোনো কোনো জেলায়। পশ্চিমের জেলাগুলিতে রবিবার থেকেই খানিকটা কনকনে শীতের আমেজ অনুভূত হবে। এরপর গাঙ্গেয় জেলায় ডিসেম্বরের মাঝামাঝিতে জাঁকিয়ে শীতের স্পেল।
উত্তরবঙ্গে আগামী পাঁচ দিনে তাপমাত্রার পরিবর্তনের সম্ভাবনা খুব একটা নেই। দার্জিলিং, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর, মালদহে মাঝারি কুয়াশার সতর্কতা রয়েছে। সপ্তাহের মাঝেই বৃষ্টির আশঙ্কা। শুক্রবার ও শনিবার দার্জিলিং ও কালিম্পংয়ের পার্বত্য এলাকায় হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বাকি সমস্ত জেলায় শুষ্ক আবহাওয়া থাকবে। দু এক ডিগ্রি তাপমাত্রা কমতে পারে উত্তরের জেলাগুলিতে। শুক্রবার থেকে রবিবারের মধ্যে নতুন করে তাপমাত্রা নামতে পারে।
কলকাতায় আজ পরিষ্কার আকাশ। গতকাল নিম্নগামী ছিল রাতের পারদ। শনি রবিবার থেকে ধীরে ধীরে আরো কমবে রাতের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। মহানগরী জুড়ে ১৫ ডিসেম্বর থেকে জাঁকিয়ে শীতের আমেজ।
কলকাতায় ১৯.৭ থেকে রাতের পারদ নেমে ১৭.৮ ডিগ্রি। গতকাল দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৫.৬ থেকে বেড়ে ২৬.৭ ডিগ্রি। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ ৪৮ থেকে ৯০ শতাংশ।
Discussion about this post