রবিবার টিএমসিপি-র রাজ্য সভাপতি তৃণাঙকুর ভট্টাচার্যকে আক্রমণ করেন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। আর মঙ্গলবার সেই কল্যাণকেই বেনজির নিশানা করলেন মদন মিত্র। তৃণমূলের অন্দরে দুই আদির লড়াই এখন তুঙ্গে। এক কথা থেকে আরেক কথা। এক প্রসঙ্গ থেকে আরেক প্রসঙ্গ। বেনজির ভাবে একে অপরকে করলেন আক্রমণ। সম্প্রতি, কল্যাণ বলেছিলেন, ‘এতগুলো ছেলে আজকে সাসপেন্ড, বহিষ্কার করা গেল, টিএমসিপি-র ছেলে, আর তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি তাঁর মুখ থেকে কোনও ভাষা নেই, কোনও কথা নেই! অবিশ্বাস্য! কার আশীর্বাদ এঁর মাথায় আছে, যে, এখনও তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি থাকে!’ এরপর মদনের আক্রমণ, ‘ ওর কথা ভাল করে শুনি না। ও বাংলায় বলে না ইংরেজিতে বলে বুঝি না। এত জোরে কথা বলে, আমি নিরীহ। সবাই ছোটবেলায় দেখতাম যার গলায় জোর সে চেঁচিয়ে জিতে যাবে।’ মদন আরো বলেন, “আমাদের দলের একজন খুবই গুরুত্বপূর্ণ নেতা আছেন, প্রায় সুপ্রিমকোর্টের চিফ জাস্টিস লেবেলের লোক আর কী! তিনি দেখলাম বলেছেন, ২ বছর ধরে প্রেসিডেন্ট রয়েছে। কে মাথায় হাত রেখেছে। আমি তো অবাক হয়ে শুনলান। বাড়ির লোককে জিজ্ঞেস করলাম, আমরা কি পার্টি চেঞ্জ করেছি! বলল না। জিজ্ঞেস করলাম, পার্টির নাম- বলল তৃণূল কংগ্রেস! এই পার্টিতে কী হবে, কে ঠিক করবে সেটা তো সবাই জানে!” তারপরই কল্যাণের পাল্টা, ‘মদনের কী রাস উৎসব শেষ হয়েছে ? শেষ হয়ে ঘোরটা কেটেছে নাকি কাটেনি এখনও ? গলার ভয়েস জোর করতে গেলে না, নিজেকে সৎ থাকতে হয়। চরিত্র গঠন করতে হয়। রাজনীতিতে কেউ নিরীহ থাকে না। অসৎ লোকেরাই নিরীহ হয়ে বসে থাকে।’ শুধু তাই নয় কামারহাটি বিধায়কের নিশানায় এসেছেন দমদমের সংসদও। সম্প্রতি কলকাতা পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন সৌগত রায়। ওই প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে কলকাতা পুলিশের পাশে দাঁড়িয়ে ঘুরিয়ে দমদমের সাংসদকে খোঁচা দিয়েছেন মদন। কামারহাটির বিধায়কের কথায়, “সৌগতদা আমার নেতা, উনি বয়স্ক, পিতামহ ভীষ্মর লেবেলে চলে গেছেন! তার কথা তো শুনে চলতেই হবে!” এরপরই রসিকতার সুরে মদন যোগ করেছেন, “সৌগতদা কি জানেন যে তাঁর যে সিকিউরিটি তাঁর কাজ তো নিরাপত্তা দেওয়া। কিন্তু তাকে দিয়ে কী কী কাজ করানো হয়। সৌগতদা কি সেটা জানেন?”
বাংলাদেশের পলাতক সাংবাদিক ইলিয়াস হোসেন সম্প্রতি এক ফেসবুক পোস্টে মেজর সুমন আহমেদ এর উদ্ধৃতি দিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন, ভারত কি বাংলাদেশ...
Read more
Discussion about this post