প্রথমবার, দ্বিতীয়বারের মত এবারও বাংলার ভাগ্যে জুটল প্রতিমন্ত্রীর পদ। শান্তনু, সুকান্ত মজুমদারকে নিশানা করে বিরোধীদের দাবি হাফপ্যান্ট পরা মন্ত্রী। অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচনে বাংলা থেকে মাত্র ১২ টি আসন পেয়েছে বিজেপি। এই নির্বাচনে বিজেপির খারাপ ফলের মাঝে বাংলা থেকে দলের মুখ রক্ষা করেছেন যারা তাঁদের মধ্যে অন্যতম বনগাঁর শান্তনু ঠাকুর ও বালুরঘাটের সুকান্ত মজুমদার। জয়ের পুরস্কার হিসেবে মোদীর মন্ত্রীসভায় স্থান পেলেন তারা। তবে পূর্ণ মন্ত্রী হিসেবে নয়। বাংলা এবারও পেল প্রতিমন্ত্রী। যা নিয়ে রাজ্যের শাসকদল ইতিমধ্যেই বিঁধতে শুরু করেছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে। তৃণমূলের রাজ্যসভা বিরোধী দলনেতা ডেরেক ও ব্রায়েন শান্তনু ও সুকান্তকে নিশানা করে হাফপ্যান্ট পরা মন্ত্রী বলেছেন।
২০১৪ থেকে ২০২৪। তিন তিনবার কেন্দ্রে এসেছে মোদী সরকার। ২০১৪ তে ২ টি আসন, ২০১৯ এ ১৮ টি আসন ও ২০২৪ এ ১২ টি আসন। বাংলা যতই আসন বাড়াক না কেন পূর্ণ মন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয়নি কাউকে। প্রাপ্ত আসনের গ্রাফ লক্ষ্য করলে ২ থেকে আসন সংখ্যা ১৬ বেড়ে ১৮। আবার ১৮ থেকে কমে ১২। আসন বাড়ুক বা কমুক মোদীর আমলে এখনও পর্যন্ত পূর্ণমন্ত্রী পাইনি রাজ্য। রাজ্যের বিজেপি বিরোধী দলগুলি ইতিমধ্যেই যাকে বাংলা বিদ্বেষ বলতে শুরু করেছে।
অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচনের তমলুকের পরাজিত প্রার্থী দেবাংশু ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন এই বিষয়ে। তৃণমূল নেতার দাবি, প্রতিবার বাংলাকে দুটি করে গরুর গাড়ির হেডলাইট দিয়েছে বিজেপি। এই অসম্মান কেন? এটাই প্রমাণ করে বিজেপির বাঙালি বিদ্বেষী মানসিকতা! ঠিক এই কারণেই এই বাংলা বিরোধী দলকে বাঙালি বিসর্জন দিয়েছে। আগামীতে বাংলা থেকে বিজেপির জন্য অপেক্ষা করছে আরও ভয়ঙ্কর প্রত্যাখ্যান।
এদিকে রবিবারই রাষ্ট্রপতিভবনে দেশ-বিদেশের প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে শপথ গ্রহণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী। শান্তনু ঠাকুর ও সুকান্ত মজুমদারও শপথগ্রহণ করেছেন। তবে কে কোন দফতর পাচ্ছে এখনও স্থির নয়। অনেকে মনে করছেন জাহাজ প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব এবারও পাচ্ছেন শান্তনু। অন্যদিকে স্বরাষ্ট্র দফতরের প্রতিমন্ত্রীর পদটিও বাংলার জন্য রাখা হতে পারে। তবে আগামী বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে বাংলার মোদী বিরোধীরা এই ইস্যুতে যে সরব হবে তা একপ্রকার নিশ্চিত। পাল্টা বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে বাংলা থেকে কেউ পূর্ণ মন্ত্রীর পদ পান কিনা সেটাও দেখার
Discussion about this post