শেখ হাসিনার আমলে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে সম্পর্ক সর্বকালের সর্বনিম্ন পর্যায়ে ছিল, বিশেষত যখন তিনি ১৯৭১ সালের যুদ্ধের সময় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর বেশ কয়েকজন নেতাকে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে অভিযুক্ত করেছিলেন। অগাস্ট মাসে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শাসনের পতনকারী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম নেতা ইসলামের এই মন্তব্য মহম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের পদস্থ নেতাদের সঙ্গে বাংলাদেশে পাকিস্তানের হাইকমিশনার সৈয়দ আহমেদ মারুফের ধারাবাহিক বৈঠকের প্রেক্ষাপটে এসেছে। ইসলামের কার্যালয়ের এক আনুষ্ঠানিক বিবৃতি অনুসারে, ১ সেপ্টেম্বর ইসলামের সাথে সাক্ষাতের সময় মারুফ বলেছিলেন যে পাকিস্তান ‘১৯৭১ সালের সমস্যার সমাধান করতে চায়’। মারুফ বলেন, ‘আগের সরকার আমাদের এ বিষয়ে আলোচনার কোনো সুযোগ দেয়নি এবং একাত্তরের বিষয়টি জিইয়ে রেখেছিল। তিনি বলেন, এটা অনেক আগেই সমাধান করা যেত এবং পাকিস্তান বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনে আগ্রহী। বাংলাদেশের আওয়ামী লীগ সরকারের বিদায়ের পর পাকিস্তানের সাথে বাণিজ্য সম্পর্ক বৃদ্ধির বিষয়টি নতুন করে আলোচনা এসেছে। গবেষক ও আমদানি-রপ্তানির সাথে জড়িতরা অনেকে মনে করছেন ভৌগলিক দূরত্বের চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও উভয় দেশের মধ্যে বাণিজ্য আরও বাড়ানো ও সহজ করার সুযোগ আছে। তারা বলছেন সরাসরি জাহাজ ও বিমান চলাচল চালুর পাশাপাশি দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তি, উভয় দেশের মান নিয়ন্ত্রক সংস্থার মধ্যে সার্টিফিকেট গ্রহণ এবং বাণিজ্য সম্পর্কিত পারস্পারিক বিনিয়োগ বাড়ানোর মাধ্যমে বাণিজ্য কয়েকগুণ বাড়ানো যাবে, যাতে উভয় দেশ সমভাবে লাভবান হতে পারে। যদিও বহুদিন ধরেই দুই দেশের মধ্য আমদানি-রপ্তানি রয়েছে, কিন্তু বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই বাণিজ্য আরো বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে। এদিকে বাংলাদেশে ভারতীয় পণ্য বয়কটের হিড়িক নতুন নয়। এর আগেও একাধিকবার দেখা গিয়েছে বাংলাদেশিরা একাধিক ভারতীয় পণ্য বয়কট করা হয়েছে। কিন্তু প্রশ্ন যখন আসে উচ্চমানের পণ্য বা স্টাইল তখন ভারতই শেষ ভরসা বাংলাদেশের কাছে। রিপোর্ট বলছে, চরম বিপদের মুখোমুখি হতে চলেছে বাংলাদেশ। সেখানে পাঁচ বছরে শিশুদের মধ্যে বেশির ভাগই তীব্র খাদ্য সংকটের সম্মুখীন। শুধু তাই নয়, বদলের বাংলাদেশে খাদ্য যোগান বাড়াতে তত্পর অন্তর্বর্তী সরকার। ওপেন টেন্ডার পদ্ধতিতে ভারত থেকে ৫০ হাজার মেট্রিক টন নন-বাসমতি সেদ্ধ চাল আমদানির অনুমোদন দেওয়া হল। খরচ হবে ২৮২ কোটি ৯৬ লাখ টাকা। জানা গিয়েছে, ভারত থেকে সেদ্ধ চাল আমদানির জন্য ৫ টেন্ডার জমা পড়ে। সবকটি প্রস্তাবই আর্থিক ও কারিগরির দিকে রেসপনসিভ হয়। শেষে টিইসি-র সুপারিশ মেনে রেসপনসিভ সর্বনিম্ম দর দিয়েছিল যে সংস্থা, সেই মেসার্স এসএইএল এগ্রি কমোডিটিজ লিমিটেড থেকেই চাল আমদানির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। মেট্রিক টন প্রতি ৪৭১.৬০ মার্কিন ডলার হিসেবে ৫০ হাজার টন চাল কিনতে খরচ হবে ২ কোটি ৩৫ লাখ ৮০ হাজার ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ ২৮২ কোটি ৯৬ লাখ টাকা। প্রতি কেজি চালের ক্রয় মূল্য ৫৬ টাকা ৫৯ পয়সা। যদিও বাংলাদেশ জানাচ্ছে, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা ও চাল আমদানিকারক বলেছেন, সরকারি গুদামে পর্যাপ্ত খাদ্য মজুত আছে এবং গত দুই মৌসুমে ধানের ভালো ফলন হয়েছে। তাই ভারত চাল রপ্তানি নিষিদ্ধ করলেও তাৎক্ষণিকভাবে কোনো সমস্যায় পড়ার সম্ভাবনা নেই বাংলাদেশের। ভারত সরকার বাসমতি ছাড়া অন্য জাতের চাল রপ্তানি নিষিদ্ধ করার বিষয়ে আলোচনা করছে। তবে প্রশ্ন উঠছে খাদ্য উৎপাদনে বাংলাদেশ কেন পিছিয়ে? জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা ঘোষণা করেছে, বিশ্বে খাদ্য আমদানিকারক দেশগুলোর মধ্যে চীন ও ফিলিপাইনের পর বাংলাদেশের অবস্থান। জনসংখ্যার ঘনত্ব বিবেচনায় বিশ্বের অষ্টম বৃহৎ জনসংখ্যার এই দেশ বড় জনসংখ্যার দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ হিসেবে বিবেচিত হয়। প্রসঙ্গত, সম্প্রতি পাকিস্তানের করাচি থেকে কন্টেইনার বহনকারী জাহাজ সরাসরি বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বন্দরে আসার পর এ নিয়ে তুমুল আলোচনা চলছে সংবাদ মাধ্যম ও সামাজিক মাধ্যমে। বলা হচ্ছে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর এবারই প্রথমবারের মতো সরাসরি জাহাজ করাচি থেকে চট্টগ্রাম আসলো। এমন প্রেক্ষাপটেই অনেকে আলোচনা করছেন দেশ দুটির মধ্যে বাণিজ্য সম্পর্ক আরও বাড়ানো যায় কিনা কিংবা বর্তমান বিপুল পরিমাণ বাণিজ্য ঘাটতি কমিয়ে এনে কীভাবে উভয় দেশ লাভবান হতে পারে।
বাংলাদেশের পলাতক সাংবাদিক ইলিয়াস হোসেন সম্প্রতি এক ফেসবুক পোস্টে মেজর সুমন আহমেদ এর উদ্ধৃতি দিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন, ভারত কি বাংলাদেশ...
Read more
Discussion about this post