এখন খবরের শিরোনামে শুধুই আর জি কর। একদিকে মহিলা চিকিৎসককে নৃশংসভাবে খুন, অন্যদিকে তাঁর প্রতিবাদে গোটা রাজ্য রাস্তায় নেমেছে। চলছে লাগাতার বিক্ষোভ, প্রতিবাদ, মিছিল। পাক স্বাধীনতার রাতে মেয়েদের রাত দখলের কর্মসূচি। এক ঐতিহাসিক দাবীর সাক্ষি থাকল গোটা দেশ। কিন্তু তারমধ্যেই ঘটে গিয়েছে আরও একটি অপ্রীতিকর ঘটনা। মধ্যরাত দখলের কর্মসূচিতে আর জি কর হাসপাতালের সামনে জমায়েত করেছেন মহিলারা। কিন্তু সেই আন্দোলনের সঙ্গে মিশে গিয়ে দুষ্কৃতীরা সরকারি হাসপাতালে ঢুকে কার্যত তাণ্ডব চালায়। পাশাপাশি তছনছ করে দেয় সমস্ত জিনিস। এমার্জেন্সী বিল্ডিংয়েও চলে তাণ্ডব। আর এই মধ্যরাতে দুষ্কৃতীদের হামলার ঘটনাকে পরিকল্পিত বলে দাবী করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিকল্পনা বলে চাঞ্চল্যকর দাবী করেন তিনি।
আর জি কর হাসপাতালে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে সেখানে পৌঁছন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। যা ঘটনা ঘটেছে তা মানবতার পক্ষে বিপদজনক। হাসপাতালে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ছিল না। এটা একেবারেই সহ্য করা যায় না। পড়ুয়াদের দাবি যুক্তিসঙ্গত। তিনি জানান, রাজ্য সরকারের তরফে একটি চিঠি পেয়েছি। এদিকে পাল্টা রাজভবন চিঠি দেয় মুখ্যমন্ত্রীকে।
পাশাপাশি মধ্যরাতে হাসপাতালে তাণ্ডবের ঘটনায় গ্রেফতার হয়েছে ৯ জন। বাকিদের খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়ায় দুষ্কৃতীদের ছবি দিয়ে পোস্ট করল পুলিস।
এদিকে আর জি কর হাসপাতালে চিকিৎসকের খুনের ঘটনার তদন্তভার রাজ্য পুলিসের থেকে সিবিআইয়ের কাছে হস্তান্তর হয়। আগেই একজনকে গ্রেফতার করেছে রাজ্য পুলিস। তবে এর সঙ্গে আরও একাধিক জন জড়িয়ে রয়েছে বলে দাবি করছেন অনেকে। তদন্তের গভীরে যাওয়ার জন্য বৃহস্পতিবার দুপুরে নির্যাতিতার বাড়িতে যায় সিবিআই। ৮ই অগস্ট রাতের এই ঘটনার তদন্তে আরও ৩ জনকে তলব করেছে সিবিআই। পাশাপাশি সেদিন রাতে হাসপাতালে থাকা চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেন তদন্তকারী আধিকারিকরা।
Discussion about this post