রোগী মৃত্যুকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা কামারহাটির সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালে। অভিযোগ, রোগী মৃত্যুর কারণে রোগীর পরিবার চিকিৎসকদের উপর হামলা করে। চলে ধাক্কাধাক্কি। সেই সময় পরিস্থিতি সামাল দিতে গিয়ে আহত হয়েছেন একজন পুলিশ কর্মী এবং দু’জন স্বাস্থ্যকর্মী। এই ঘটনার জেরে ফের সম্পূর্ণ কর্মবিরতিতে গেলেন সাগর দত্ত হাসপাতালের জুনিয়র চিকিৎসকেরা। অভিযোগ, হাসপাতালে আনার পরে রোগীকে চিকিৎসা না করে ফেলে রাখা হয়েছিল। ফলে বিনা চিকিৎসায় মৃত্যু হয়েছে রোগীর। এই অভিযোগ তুলেই রোগীর আত্মীয়রা চিকিৎসকদের ওপর চড়াও হন। চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ অস্বীকার করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। কর্তৃপক্ষের দাবি, ‘৫ দিনের জ্বরে আক্রান্ত মহিলাকে নিয়ে আসা হয় হাসপাতালে। রোগীর পরিজনদের দেওয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, মহিলার ডেঙ্গি হয়েছিল। হাসপাতালে ভর্তি করে অনেক চেষ্টা করা হলেও মহিলাকে বাঁচানো যায়নি। এরপরই আচমকা ২০-২৫জন ভিতরে ঢুকে কর্তব্যরত মহিলা জুনিয়র ডাক্তার, নার্সদের শারীরিক নিগ্রহ করে, ভাঙচুর চালায়’, হাসপাতাল সূত্রের খবর, শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন ৩৬ বছরের রঞ্জনা সাউ নামে এক রোগী। পরে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাঁর মৃত্যু হয়। এরপরই আচমকা ২০-২৫ জন একসঙ্গে হাসপাতালে ঢুকে হামলা চালায় বলে অভিযোগ। মারধর করা হয় মহিলা চিকিৎসককে। তাঁকে বাঁচাতে গিয়ে আক্রান্ত হন হাসপাতালের অন্যান্য চিকিৎসক, নার্স, জুনিয়র নার্স-সহ নিরাপত্তা কর্মীরা। পুলিশ সূত্রে খবর, উত্তেজনা নিয়ন্ত্রণে আনতে গিয়েই হাতে চোট লাগে হাসপাতাল কর্মীর। হাসপাতাল সূত্রে খবর, চার জন চিকিৎসক অল্প বিস্তর আহত হয়েছেন। পাশাপাশি এই ঘটনায় চার জনকে আটকও করা হয় বলে জানা যায়। এদিকে হাসপাতালে সুরক্ষার দাবিতে কর্মবিরতি শুরু করে দেন জুনিয়র ডাক্তাররা। গতকাল রাত থেকেই সাগর দত্তে কর্মবিরতি ঘোষণা করে দেন জুনিয়ার ডাক্তাররা। কর্মবিরতির জেরে ব্যাপকভাবে ব্যাহত রোদী পরিষেবা। অচলাবস্থা কাটেনি শনিবার সকালেও।
প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেও সাগর দত্তে রোগী মৃত্যুর ঘটনাকে ঘিরে উত্তেজনা ছড়িয়েছিল। অভিযোগ, জরুরি বিভাগে মত্ত এক চিকিৎসক চিকিৎসা না করে ফেলে রেখেছিলেন রোগীকে। মৃতের পরিবারের অভিযোগ ছিল, মত্ত অবস্থায় হাসপাতালে ছিলেন ওই চিকিৎসক। ইসিজি করিয়েছিলেন, কিন্তু রিপোর্টে কী ছিল তা জানানো হয়নি।সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতে ফের একই ঘটনা ঘটল। অন্যদিকে, আরজি করের ঘটনায় আন্দোলনের ঝাঁজ আরও বাড়াচ্ছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। মহালয়ার দিন, ২ অক্টোবর ধর্মতলায় মহামিছিল ও মহাসমাবেশের ডাক দিয়েছেন চিকিৎসকরা।
Discussion about this post