আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে ঘটে যাওয়া নারকীয় ঘটনার আগামী ৯ নভেম্বর তিন মাস পেরিয়ে যাবে। কিন্তু, এখনও মেলেনি ন্যায়বিচার। সিবিআইয়ের তদন্ত নিয়ে একাধিক প্রশ্ন উঠছে। সিবিআইয়ের পেশ করা চার্জশিট নিয়ে একাধিক প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। ফোরামের তরফে জুনিয়র চিকিৎসক দেবাশিস হালদার এদিন সিবিআইয়ের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তিনি বলেন, ‘প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ-সহ বাকি ধৃতদের ভূমিকা কি খতিয়ে দেখা হয়েছে? কী কী পদক্ষেপ করা হয়েছে, আমরা জানতে চাই।’ সিবিআইয়ের চার্জশিটে কেন বাকি অভিযুক্তদের নাম নেই, সে নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরা। ওই চার্জশিট ‘দুর্বল’ বলেও উল্লেখ করেছেন দেবাশিস। তিনি এও বলেন, ‘আমরা আশা করব, সিবিআই কোনও প্রভাবশালীর দ্বারা প্রভাবিত হবে না।’ জুনিয়ার ডাক্তাররা ধরে ধরে প্রশ্ন তুলেছেন কেন নির্যাতিতার অটোপসির নমুনা নেওয়ার পরও তা অনেক দেরিতে কেন্দ্রীয় ফরেনসিক ল্যাবে পাঠানো হয়। সঞ্জয় রায়কে ৯ অগাস্ট রাতে গ্রেপ্তার করা হলেও ১২ অগাস্ট তাঁর রক্তমাখা জামাকাপড় বাজেয়াপ্ত করে পুলিশ। এখানেও কেন দেরি করা হল, সেই প্রশ্ন তোলা হয়েছে। নির্যাতিতার বাবা-মাকে ঘটনার দিন কেন ৩ ঘন্টা অপেক্ষায় রাখা হয়েছিল সেই প্রশ্নও ফের একবার তোলেন জুনিয়ার ডাক্তাররা। একই সঙ্গে, টালা থানায় কখন ঘটনা সম্পর্কে জানানো হয়েছিল, কলেজ কর্তৃপক্ষ কেন কোনও এফআইআর করেনি, তারও কোনও ব্যাখ্যা চার্জশিটে নেই বলেই দাবি করেছেন তাঁরা। ৯ তারিখে সিজার মেমো তৈরি শেষ হয় রাত ১০:৪৫ এ, এফআইআর হয় ১১:৪৫ এ। তার আগেই ১১:৩০ এ আটক করা হয় সঞ্জয়কে। এফআইআর এর আগেই এত দ্রুততার সাথে অপরাধী আটক হওয়াটা স্বাভাবিক ভাবেই সন্দেহের জন্ম দেয়।
কিছুটা আঁচ আগে থেকেই করা যাচ্ছিল, এবার সেটাই হতে চলেছে। পরিবর্তনের বাংলাদেশের সংবিধান থেকে ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ শব্দটাই বাদ দিতে চায় মুহাম্মদ...
Read more
Discussion about this post