রাজ্যের বিভিন্ন পঞ্চায়েতে শাসক দলের নেতাদের বিরুদ্ধে ভুরি ভুরি অভিযোগ। আবাস যোজনার বাড়ি নিয়ে চরম বিতর্কের মুখে রাজ্য প্রশাসন। তারই মধ্যে এ যেন উলোটপুরাণ। পুরনো একটি টালির ছাউনি দেওয়া মাটির বাড়ি। তাতেও আবার ফাটল, জরাজীর্ণ অবস্থা। সেখানেই থাকেন পশ্চিম বর্ধমান জেলার কাঁকসা ব্লকের মলানদিঘী গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান পাকুমনি সোরেন। বাড়ির অবস্থা খারাপ হলেও তিনি বাড়ির জন্য আবাস যোজনায় আবেদনও করেননি। প্রধানের সততা দেখে গর্বিত এলাকাবাসীও। প্রশংসায় পঞ্চমুখ মন্ত্রী থেকে বিরোধীরাও। কাঁকসার মলনদিঘী গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রত্যন্ত গ্রাম ঘটকডাঙা থেকে উঠে এসেছেন পাকুমনি সোরেন। জনতার ভোটে জয়লাভ করে বসেছেন প্রধানের পদে। তারপর থেকেই তিনি নিষ্ঠার সঙ্গে এগিয়ে নিয়ে যাবার চেষ্টা করছেন মলানদিঘী গ্রাম পঞ্চায়েতকে। প্রতিদিন পাতা সেলাই করে শুরু হয় প্রধানের দিন। তারপরেই সবার সঙ্গে বাসে চেপে পঞ্চায়েতে পৌঁছান। দিনভর শোনেন সমস্যার কথা। দেন সঠিক পরিষেবা। কিন্তু তিনি ছেলে, মেয়ে আর স্বামীকে সঙ্গে নিয়ে নিজে থাকেন মাটির দেওয়ালে বড় বড় ফাটল ধরা আর টালির ঝাউনিতে অজস্র ফুটো থাকা বাড়িতে। বাড়ির ফাটল ধরা অংশ যাতে কেউ বুঝতে না পারে সেজন্য ঢাকা দিয়ে রেখেছেন প্লাস্টিক। তবুও আবেদন করেননি বাংলা আবাস যোজনায়। এবিষয়ে পাকুমনি সরেন বলেন, “আমার পাকা বাড়ি নেই। আমি মাটির বাড়িতেই থাকি। মানুষকে যত পরিষেবা দিতে পারব ততই আমাদের ভাল। যারা যারা বাড়ি পায়নি তাঁরা অবশ্যই বাড়ি পাক সেটাই আমি চাই। সবাই পাওয়ার পর আমাকে যদি পরিষেবা দেয় তো নেব।”
শিয়ালদহ আদালতে আরজি কর মামলার পঞ্চম দিন হলেও এই মামলায় ধৃত সঞ্জয় এই নিয়ে তৃতীয় দিন হাজিরায় উপস্থিত থাকছে। আজ...
Read more
Discussion about this post