মেদিনীপুর ও মালদায় ট্যাবের টাকা না পাওয়া নিয়ে পড়ুয়াদের বিস্তর অভিযোগ। এবার এই ২ জেলার মোট ৭ জন প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে দায়ের হল এফআইআর। আর প্রশাসনের এই পদক্ষেপে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে প্রধান শিক্ষকদের সংগঠন। লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে ট্যাবের টাকার গায়েবের সংখ্যা। ৮৪ নয়, রাজ্যজুড়ে ৩০০-রও বেশি পড়ুয়ার ট্যাবের টাকা গায়েব। বিভিন্ন জেলায় জেলায় রিপোর্ট চেয়েছিল রাজ্য স্কুল শিক্ষা দফতর। সোমবারের মধ্যে রিপোর্ট চেয়েছিল স্কুল শিক্ষা দফতর বিভিন্ন জেলার স্কুল বিদ্যালয় পরিদর্শকদের থেকে। রিপোর্ট অনুযায়ী, চাঁচোলের মহকুমাশাসকের নেতৃত্বে পুলিশ ও শিক্ষা দপ্তরের আধিকারিকরা গিয়েছিলেন হরিশ্চন্দ্রপুরের কনুয়া ভবানীপুর স্কুলে। সেখানে গিয়েই তদন্তকারীরা দেখেন, অফিস ঘরে আলমারির নীচে রয়েছে সারি সারি মদের বোতল। এই আবহে চাঁচোলের মহকুমা শাসক বলেন, ‘স্কুলে মদের বোতল কীভাবে এল, সেই বিষয়ে পুলিশকে তদন্ত করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। আইন অনুযায়ী পদক্ষেপ করা হবে।’ জেলা শিক্ষা দফতরের বক্তব্য, পুলিশি তদন্তের পরেও যদি ওই টাকা উদ্ধার করা না যায়, তা হলেও ওই সাত পড়ুয়াকে ট্যাব কেনার ব্যবস্থা করে দেবে। জেলায় দায়িত্বে থাকা আধিকারিক দেবাশিস সরকার বলেন, ‘‘শুধু কন্যাপুর নয়, আরও কয়েকটি স্কুলে এই ধরনের ঘটনা ঘটেছে। আমরা সাইবার থানায় জানিয়েছিল। টাকাগুলো উদ্ধারের চেষ্টা করা হচ্ছে। যদি তা না-ও করা যায়, তা হলেও যারা ট্যাবের টাকা পায়নি, তাদের আমরা ট্যাব কেনার ব্যবস্থা করে দেব।’’এরপরই ট্যাব কেলেঙ্কারির ঘটনায় মালদহ থেকে একজনকে গ্রেফতার করল বর্ধমান জেলা পুলিশ। অভিযোগ, অ্যাকাউন্ট হ্যাক করে সে পড়ুয়াদের টাকা হাতিয়েছিল। এই চক্রে আরও কয়েকজন জড়িত বলেও জানা গেছে। তাদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।মালদহ থেকে ধৃতের নাম হাসেম আলি। বাড়ি মালদা জেলার বৈষ্ণবনগরে। পুলিশ তদন্তে নেমে জানতে পারে জুলাই মাসে হাসেম আলি একটি মোবাইলে বাংলার শিক্ষা পোর্টাল অ্যাকসেস করে। নিজে একটি অ্যাকাউন্ট মোডিফাই করেছিল হাসেম। যে মোবাইলটি হাসেম ব্যবহার করতো সেটিও আটক করেছে পুলিশ। এই ঘটনায় আরও কিছু নাম আছে বলে পুলিশের অনুমান। পাশাপাশি নবান্নে মুখ্যসচিবের নেতৃত্বে বৈঠকের ডাক দেওয়া হয়। শিক্ষা দফতর ছাড়াও বৈঠকে আছেন মালদা, পূর্ব মেদিনীপুর, পূর্ব বর্ধমান, মুর্শিদাবাদ, দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার DM, SP-রা। ডিজিপির উপস্থিতিতে ৫ জেলার DM, SP-র সঙ্গে বৈঠক হচ্ছে নবান্নে। কীভাবে একজনের টাকা অন্যের অ্যাকাউন্টে? দেওয়া হয়েছে তদন্তের নির্দেশ।
Discussion about this post