আরজি কর কাণ্ডের পটভূমিতে তৈরি স্বল্পদৈর্ঘ্যের ছবিতে অভিনয় করে বিতর্কে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেত্রী রাজন্যা হালদার। স্বল্পদৈর্ঘ্যের ছবি বানিয়েছেন তৃণমূল নেতা তথা পরিচালক প্রান্তিক চক্রবর্তী। আবহে স্পর্শকাতর বিষয় নিয়ে ছবি ভালো চোখে নিলনা শাসক দল তৃণমূল। রাজন্যা ও প্রান্তিককে সংগঠনের পদ থেকে বহিষ্কার করল তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। আরজি কর কাণ্ড নিয়ে তোলপাড় রাজ্য তথা সর্ব ভারতীয় রাজনীতি। দোষীদের শাস্তির দাবিতে সাধারণ মানুষ পথে নামছেন। সকলের একটাই দাবি, সু বিচার চাই। এই আবহে ‘তিলোত্তমা’কে নিয়ে স্বল্পদৈর্ঘ্যের ছবি বানিয়েছেন তৃণমূল নেতা তথা পরিচালক প্রান্তিক চক্রবর্তী। আর মূল চরিত্রে অভিনয় করছেন তৃণমূল নেত্রী রাজন্যা হালদার। বিচারাধীন ‘স্পর্শকাতর’ এই বিষয় নিয়ে সিনেমা করায় নিন্দার ঝড় উঠেছে তৃণমূলের দলের মধ্যেই। তারই জেরে এবার রাজন্যা ও প্রান্তিককে সংগঠনের পদ থেকে বহিষ্কার করল তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। শুক্রবার এক বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে তা জানিয়ে দেওয়া হয়। প্রান্তিক ছিলেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের রাজ্যর সহ সভাপতি। রাজন্যা ছিলেন সংগঠনের যাদবপুর-ডায়মন্ড হারবার সাংগঠনিক জেলার সহ সভানেত্রী। দল তাঁদের সম্পর্কে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না নেওয়া পর্যন্ত এই বহিষ্কারের নির্দেশ কার্যকর থাকবে বলে জানানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, মহালয়ার দিন ছবি মুক্তি পাওয়ার কথা রয়েছে। ইতিমধ্যেই সেই ছবির পোস্টার মুক্তি পেয়েছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, মাথায় মুকুট, হাতে স্টেথোস্কোপ, গায়ে অ্যাপ্রন পরে দাঁড়িয়ে আছেন রাজন্যা। পোস্টার দেখার পরই সোশ্যাল মিডিয়ায় শোরগোল শুরু হয়। নিন্দার ঝড় ওঠে নেটিজেনদের মধ্যে। এই প্রসঙ্গে তৃণমূল নেতা কুনাল ঘোষ সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছিলেন, ‘আরজিকর প্রসঙ্গ উল্লেখ করে একটি শর্টফিল্মের খবর এসেছে। এর সঙ্গে তৃণমূলের কোনও সম্পর্ক নেই। আমরা তিলোত্তমার ঘটনার ন্যায়বিচার চাই। এই স্পর্শকাতর বিষয়কে প্রচারে ব্যবহার করার চেষ্টার আমরা বিরোধী। যে কোনও ব্যক্তির স্বাধীনতা আছে সৃষ্টিতে। কিন্তু তদন্তাধীন এই মর্মান্তিক ঘটনাকে দলের সঙ্গে জড়িত কেউ যদি ছবির প্রচারে ব্যবহার করে, দল তার দায়িত্ব নেবে না। দল এবিষয়ে কোনও অনুমতি দেয়নি, দল জানত না।
Discussion about this post