মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের করা মানহানি মামলায় নয়া মোড়। মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যে রাজ্যপালের মানহানি হয়েছিল কি না, কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চেকেই তা বিবেচনা করে দেখতে বলল ডিভিশন বেঞ্চ। এ বিষয় নতুন করে হলফনামা জমা নিতে হবে সিঙ্গল বেঞ্চকে। তারপর সিদ্ধান্ত নিতে হবে। পাশাপাশি, ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, রাজ্যপালের বিরুদ্ধে মন্তব্য করা যাবে। তবে, কোনওভাবেই যেন তাঁর সম্মানহানি না করা হয়, সেই বিষয়টি মাথায রাখতে হবে মুখ্যমন্ত্রীকে। রাজ্যপাল সম্পর্কে যে কোন মন্তব্য করতে পারবেন মুখ্যমন্ত্রী সহ চার তৃণমূল নেতা। নির্দেশ ডিভিশন বেঞ্চের। যদিও মন্তব্য করার সময় মনে রাখতে হবে সেটা যেন মানহানির যে সংজ্ঞা আছে বা মানহানি সম্পর্কিত যে আইন আছে তাকে লঙ্ঘন না করে নির্দেশ বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চের। এরপরই মামলা ফেরত গেল সিঙ্গেল বেঞ্চের বিচারপতি কৃষ্ণা রাওয়ের এজলাসে।
আদালত জানায়, একজন মানুষের মর্যাদা অত্যন্ত স্পর্শকাতর এবং পবিত্র বিষয়। সেটাকে রক্ষা করার জন্য আইনে সংস্থান রয়েছে। মানুষের বাকস্বাধীনতা খর্ব করা যায়না। যদিও এই বাকস্বাধীনতার কিছু কিছু সীমাবদ্ধতা আছে। সত্যি জানার অধিকার সবার আছে। যদিও এই সত্য প্রকাশের ক্ষেত্রে মুখ্যমন্ত্রী বা উচ্চপদে থাকা ব্যক্তিদের অনেক বেশি দ্বায়িত্বশীল থাকতে হয়, পর্যবেক্ষণ আদালতের। ১৪ আগস্ট পর্যন্ত রাজ্যপালের বিরুদ্ধে কোনও সম্মানহানির মন্তব্য করতে পারবেন না মুখ্যমন্ত্রী সহ মোট চার তৃণমূল নেতা। এই মর্মে অন্তর্বর্তী নির্দেশ দেন বিচারপতি কৃষ্ণা রাও। সিঙ্গল বেঞ্চের সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে মামলা হয়েছিল।
প্রসঙ্গত, বরানগর ও ভগবানগোলা উপনির্বাচনে জয়ী দুই তৃণমূল প্রার্থীর শপথকে ঘিরে জটিলতা তৈরি হয়েছিল। মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, রাজভবনে যা চলছে মেয়েরা শপথ নিতে যেতে ভয় পাচ্ছে। মমতা প্রশ্ন তোলেন রাজ্যপাল কেন বিধানসভায় এসে শপথ গ্রহণ করবেন না? কেন স্পিকার-ডেপুটি স্পিকারকে দায়িত্ব দেবেন না? এই মন্তব্যের জেরেই মামলা করেন রাজ্যপাল।
Discussion about this post