বদলের বাংলাদেশে কত সমীকরণই না বদলাচ্ছে। হাসিনা পরবর্তী দেশে বিএনপি ও জামাতে ইসলামি আরও কাছাকাছি আসছে। নির্বাচন নিয়ে দুই দলেরই এখন এক সুর। চাপ বাড়ানো হচ্ছে ইউনুস সরকারের উপর। অন্তবর্তী সরকার নির্বাচন নিয়ে যত বেশি সময় নেবে, তত বেশি সমস্যা তৈরি হবে বলে শনিবার মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগির। ছাত্র-জনতার গণঅভুত্থানের পর গত ৮ আগস্ট নোবেলজয়ী ড: মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের যাত্রা শুরু হয়। শুরু থেকেই সরকারকে সহযোগিতা করছে দেশের বৃহৎ দল বিএনপিসহ অন্য রাজনৈতিক দলগুলো। সরকারের রাষ্ট্র সংস্কারের কাজ শুরু হয় দেরিতে। রাষ্ট্র সংস্কারের সহযোগিতার জন্য রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের জন্য ৩১ দফা আনুষ্ঠানিকভাবে তুলে ধরেন। যা সরকারের রাষ্ট্রসংস্কারের কাজে সহায়ক হবে বলে দাবি করেছে বিএনপি। সরকারের রাষ্ট্র সংস্কারের পাশাপাশি জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রূপরেখা দাবি করে বিএনপি। কিন্তু নির্বাচনী রূপরেখা নিয়ে সরকারের পক্ষ থেকে পরিষ্কার সিদ্ধান্ত না জানায় ক্ষুব্ধ হয় দলের হাইকমান্ড। এজন্য সরকারের কর্মকান্ড নিয়ে ষড়যন্ত্র দেখতে পাচ্ছে দলটি। এই ষড়যন্ত্রের বিষয়ে প্রকাশ্যে কথা বলছেন দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ বিএনপির সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা। এ নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গণে বিভিন্ন আলোচনা-সমালোচনা চলছে বলে জানা গেছে। এদিকে অসুস্থ খালেদা জিয়ার স্থানে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের হাতে এখন বিএনপি পরিচালনার দায়িত্ব। মেজর হাফিজ তাঁর ঘনিষ্ঠ নেতা হিসাবে পরিচিত। এর আগেই দলের মহাসচিব ফখরুল স্পষ্ট ভাষায় জানিয়েছিলেন, সংস্কার নিয়ে তাঁদের মাথাব্যথা কম। বিএনপি চায় যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচনের ব্যবস্থা করা হোক। তার জন্য নির্বাচন কমিশন, বিচার বিভাগ এবং প্রশাসনে যতটুকু সংস্কার প্রয়োজন, সেটাই ইউনূস সরকার করুক। সংস্কারের কাজে ইউনূস সরকারের এক্তিয়ার ও বৈধতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিলেন ফখরুল। সম্প্রতি সাংবাদিক সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানান, বিএনপি ক্ষমতায় আসলে তারা জাতীয় সরকারের মধ্যে সমস্ত দলগুলোকে নিয়ে আসবেন, যারা বিএনপি সঙ্গে আন্দোলন করেছে তাদের নিয়ে দেশ পরিচালনা করবেন। মির্জা ফখরুল আরো বলেন, ‘নির্বাচিত হয়ে আসতে পারলে আমরা একা দেশ চালাব না। তাহলে সমস্যা কোথায়? সন্দেহ কোথায়? সন্দেহ কিন্তু আপনাদের ওপর মানুষের আসতে শুরু করেছে। সরকারের লোক যারা আছেন, তারা অনেক সময় অনেক রকম কথা বলছেন। কথা বলে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছেন। ফোকাস এক জায়গায় করুন। ফোকাসটা হচ্ছে ইলেকশন কমিশনকে ঠিক করে, প্রশাসন, বিচার ব্যবস্থাকে ঠিক করে নির্বাচনের দিকে যান। বাকি কাজগুলো যারা নির্বাচিত হয়ে আসবে তারা করবেন।’ আসলে, বর্তমানে বাংলাদেশের রাজনৈতিক ময়দানে থাকা দুই বড় দল বিএনপি ও জামাতে ইসলামি নিজেদের মধ্যে দূরত্ব কমিয়ে আনার চেষ্টা করছে। গত আগস্টে শেখ হাসিনার পতনের পর উভয় দলের শীর্ষনেতারা বিপরীতমুখী বক্তব্য দিলেও সম্প্রতি তাদের বক্তব্যের ধরন ও সুর বদলেছে। কারণ, ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন ইস্যুতে টানাপোড়েনের মধ্যেই রাজনৈতিক সম্পর্ক স্বাভাবিক রেখে এগোতে চাইছে দল দুটি। বিশেষ করে নির্বাচনের আগে কারও সঙ্গে বিরোধে না গিয়ে ঐক্য ধরে রাখতে মরিয়া তারা।
বাংলাদেশের পলাতক সাংবাদিক ইলিয়াস হোসেন সম্প্রতি এক ফেসবুক পোস্টে মেজর সুমন আহমেদ এর উদ্ধৃতি দিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন, ভারত কি বাংলাদেশ...
Read more
Discussion about this post