ফের বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় সোচ্চার তসলিমা নাসরিন। সামনেই দুর্গাপুজো। বাংলাদেশে হিন্দুরা কতটা সুরক্ষিত তা নিয়ে প্রশ্নটা থেকেই গিয়েছে। তার মধ্য়েই বোমা ফাটালেন তসলিমা। নিজের ফেসবুক পেজে তসলিমা লিখেছেন “বাংলাদেশের হিন্দু শিক্ষক কেন মুসলমান হলেন? তিনি বলেছেন তিনি কোরানে বিজ্ঞান খুঁজে পেয়েছেন, সে কারণে মুসলমান হয়েছেন। কিন্তু এ তো ভুল কথা। কোরানে কোনও বিজ্ঞান নেই। ধর্ম এবং বিজ্ঞান চিরকালই সম্পূর্ণই আলাদা। রতন মজুমদারকে মুসলমান হওয়ার কারণে পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হতে হয়েছে। তাঁর পিতা মাতা ভাই বোন স্ত্রী কন্যা কেউ মেনে নেননি তাঁর ধর্ম পরিবর্তন। তাঁর আসল কারণ কি মুসলমান হওয়ার?” এরপর তিনি একটি নথি পোস্ট করেছেন। সেখানে দেখা যাচ্ছে একটি নথিতে এক ব্যক্তি সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট-নোটারি পাবলিক, সমগ্র বাংলাদেশ, লক্ষ্মীপুরের কাছে আবেদন করেছেন।আবেদনপত্রে বিষয়বস্তু হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছে, ইসলাম ধর্মগ্রহণ ও নাম পরিবর্তন সংক্রান্ত ঘোষণা। সেখানে প্রথম লাইনে লেখা হয়েছে আমি সইফুল্লাহ, সাবেক নাম রতন মজুমদার পিতা রামকৃষ্ণ মজুমদার, মাতা হীরাবতী মজুমদার, থানা রায়পুর, জেলা লক্ষ্মীপুর। সমাজ মাধ্যম ব্যবহারকারীরা অনেকেই এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছে। “কেউ লিখেছেন বাংলাদেশের শেষের শুরু হয়ে গেছে। এরা দিনদিন অন্ধকারে তলিয়ে যাচ্ছে। নাম শুনলেই ঘেন্না হয়।” তো আবার কেউ বলেছেন, “এভাবেই অনেক সনাতনী হিন্দু চাপে পরে মুসলিম হয়েছেন বহু বছর ধরে,ইতিহাস তাই বলছে। কিন্তু আমার প্রশ্ন হলো এতে কি এই ধর্মের মানুষদের সম্মান বাড়ে নাকি কমে? জোর করে কি কারোর সম্মান বা ভালোবাসা পাওয়া যায়? স্বেচ্ছায় যদি কেও তাদের ধর্ম গ্রহণ করতো তাহলে সেটা হতো সম্মানের।কিন্তু এগুলো তো অরাজকতা। এতে কোনো মাহাত্ম্য নেই।” অপর এক ইউজার লিখেছেন, সম্মানিত আপা, টেনশন নিয়েন না, এমন একটা কাগজ প্রতি ১০ মিনিট পর পর একটা বানিয়ে নেওয়া সম্ভব। আপনার কত শত লাগবে ? আমাকে একটু আওয়াজ দিয়েন ? আপনার প্রতি অনুরোধ, এদেশের সনাতন ধর্মের লোকদের ক্ষতিগ্রস্ত করবেন না।
বিপাকে পড়েছে মুকেশ আম্বানির জিও! কমে গিয়েছে জিও ব্যবসা। অনেকেই নাকি জিও সিম ছেড়ে বেরিয়ে যাচ্ছেন। আর এরমধ্যেই বিপাকে পড়তে...
Read more
Discussion about this post