বঙ্গপোসাগরের বুকে কখন যে জন্ম নিচ্ছে নিম্নচাপ, তা বলা সত্যিই কঠিন। তবে আবহাওয়াবিদের নানা পর্যবেক্ষণের পর মোটামুটিভাবে আন্দাজ করা যাচ্ছে , এপ্রিল থেকে মে ও অক্টোবর থেকে নভেম্বরে এর মধ্যেই বঙ্গোপসাগরে জন্ম নেয় সাইক্লোন।
ঠিক যেমন গত বছর অক্টোবর মাসের শেষের দিকে হানা দিয়েছিল ঘূর্ণিঝড় ‘হামুন’। আর এবার সেই একই সময়ে দানা বাধঁতে দেখা গেল ঘূর্ণিঝড় ‘ডানা’ কে। তবে এর পরবর্তী ঘূর্ণিঝড় আসবে, তার নাম কি ঠিক করা হয়ে গিয়েছে?
হ্যাঁ, ‘ওয়ার্ল্ড মেটেরিওলজিক্যাল অর্গানাইজেশনে’র তরফে জানানো হল যে, পরবর্তী ঘূর্ণিঝড়ের নাম ঠিক করা আছে আগে থেকেই।
সাধারণত এই ঘূর্ণিঝড় গুলি কখনও শক্তি থাকে কম, কখনও আবার তার ধ্বংসলীলা থাকে চোখে পরার মতো। মূলত কখনও সেই ঝড়ের নিশানায় থাকে বাংলাদেশ, কখনও বা ওড়িশা, পশ্চিমবঙ্গ।
তবে এই ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণের ক্ষেত্রে বিশেষ পন্থা অবলম্বন করা হয়। ‘ওয়ার্ল্ড মেটেরিওলজিক্যাল অর্গানাইজেশনে’র নির্ধারণ করা নিয়ম অনুযায়ী বেশ কয়েকটি দেশ সঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ করে থাকে। দেশগুলি হল- ভারত, বাংলাদেশ, ইরান, মলদ্বীপ, মায়ানমার, কাতার, সৌদি আরব, শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড, সংযুক্ত আরব আমিরশাহী, ইয়েমেন।
দেখা গিয়েছে একেকবার একেকটি দেশ ঝড়ের নামকরণ করে থাকে । যেমন ধরুন, বছর দুয়েক আগে ‘ইয়াস’ নামে একটি ঘূর্ণিঝড় আঘাত হেনেছিল বাংলার উপকূলে। এই ‘ইয়াস’ নামটি ছিল ওমান দেশের দেওয়া। এবং অতি সম্প্রতি ‘রেমাল’ ঝড়ের নামকরণও করেছিল ওমান। আর এবার এল ‘ডানা ’। এই ঝড়ের নামকরণ করেছে কাতার।
আবহাওয়াবিদরা জানাচ্ছেন নিয়ম মতো এরপর এই বঙ্গপোসাগরে ঘূর্ণিঝড় এলে তার নামকরণ করবে সৌদি আরব। আর সেই ঝড়ের নাম হবে ফেংগাল । তবে সেই নামের আক্ষরিক অর্থ ঠিক কী, সেটি স্পষ্ট নয়। এবং এরপরের সাইক্লোনের নাম হবে ‘শক্তি’, যা শ্রীলঙ্কার দেওয়া।
Discussion about this post