তার স্বপ্ন অলিম্পিক পোডিয়াম ।কিন্তু নিজের খেলার ফাঁকেই প্রবাসী বাঙালি শুটার আয়নিকা পাল নিঃশব্দে যে কাজ করে চলেছেন তা ভারতের কোন ক্রীড়াবিদ এখনো পর্যন্ত করতে পারেননি। মুম্বাইয়ে অয়নিকা ১০ মিটার এয়ার রাইফেলে দেশের অন্যতম পরিচিত মুখ । রিও অলিম্পিকসে তিনি দেশের প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন। কিন্তু সাফল্য পাননি। তবে কমনওয়েলথ গেমস ও এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে রুপো রয়েছে এই তারকার। অলিম্পিকে সে ভাবে সাফল্য না পেয়ে ডুবে গিয়েছিলেন তার পড়াশোনায় ।তিনি ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে মাস্টার্স করেন মুম্বাই উনিভার্সিটিতে ।তারপরে ফিফার স্পোর্টস ম্যানেজমেন্ট ডিগ্রিও নিয়েছেন। ইলেক্ট্রনিক ডিজাইন নিয়ে তার একাধিক গবেষণা পত্র প্রকাশিত হয়েছে বিশ্বের বিভিন্ন পত্রিকায়। আর এই শিক্ষাগত যোগ্যতার জন্যই ইন্টারন্যাশনাল কমিটি এবং ইউনিয়ন অফ ইউরোপীয় ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন আয়োনিকাকে একটা বিরাট সম্মান দিয়েছে। এই দুই সংস্থা যৌথভাবে সুইজারল্যান্ডে আয়োজন করেছে একটি বিশেষ ম্যানেজমেন্ট কোর্স। যার নাম’ ইনোভেশন ইন অ্যাকশন প্রোগ্রাম’ ।আই ও সির হেডকোয়ার্টার লুসানে এই কোর্স করানোর পার্টনার আবার বিশ্বের অন্যতম সেরা বিজনেস ম্যানেজমেন্ট ইনস্টিটিউট আইএমডি। এই কোর্সে অংশ নেওয়ার জন্য বিশ্বের মাত্র তিনজন ক্রীড়াবিদকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে আই ও সি। কোর্স করার ফাঁকে লুসান থেকে ফোনে আর্নিকা একটি সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন তিন মাসের এই কোর্স থেকে ভাবনার যে প্রসার ঘটবে তা কাজে লাগিয়ে আগামী দিনে খেলাধুলার উন্নয়নের পথ আরো সুগাম করা যাবে।। জন্ম পড়াশোনা খেলাধুলা সবকিছুই মুম্বাইয়ে হলেও তার নাড়ির টান কলকাতায় ।কারণ তাঁর বাবা অসীম পাল বাংলার নামী ওয়াটার পোলো প্লেয়ার ছিলেন ।বাংলার হয়ে জাতীয় মিটে খেলেই তিনি সেন্ট্রাল রেলে চাকরি পেয়ে মুম্বাই বাসী হন ।তবে নিয়মিত মেয়েকে নিয়ে লেকটাউনের বাড়িতে আসেন। অসীম লুসানে মেয়ের সঙ্গে আছেন। তিনি বলছিলেন, ‘আয়নিকা বিশ্বের সর্বোচ্চ স্তরে পড়াশোনা আর শুটিং চালিয়ে যাওয়ার সুবাদে নিজের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে ভীষণই আত্মবিশ্বাসী ।তাই ওকে নিয়ে বাংলা তো বটেই সারা দেশের ক্রীড়াপ্রেমীরা স্বপ্ন দেখতেই পারেন’।
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভারতের অংশ গ্রহন নিয়ে, পাকিস্তানের সঙ্গে অনেক দড়ি টানাটানির পর, যদিও বা হাইব্রিড মডেলে ভারত পাকিস্তান রাজি হল।...
Read more
Discussion about this post