,,: হায়দ্রাবাদি ঘরানার ব্যাটসম্যান তিনি হায়দ্রাবাদি ঘোরানোর ব্যাটসম্যান তিনি। মোহাম্মদ আজহারউদ্দিন ভি ভি এস লক্ষ্মণের যোগ্য উত্তরসূরী। উচ্চস্বরে ।সেই সূক্ষ্ম কব্জির মোচড়, ব্যাক ফুটে দৃষ্টিনন্দন কভার ড্রাইভ, গোটা মাঠ জুড়ে শটের ফুলঝুরি -সবই রয়েছে তার ব্যাটে। এতদিন সেঞ্চুরি ছিল না এবার সেটাও হয়ে গেল। সেঞ্চুরিয়ানের ২২ গজ মঞ্চ সাজিয়ে প্রস্তুত ছিল। তিলক বর্মা ৫৬ বল খেলে করলেন ১৫৭ রান। ইনিংসে ৮ টি চার সাতটি ছক্কা ।টি-টোয়েন্টিতে যেমন চাই তেমনি মারকাটারি ব্যাটিং করলেন। কিন্তু প্রত্যেক শটে থাকলেও শিল্পের ছোঁয়া বুঝিয়ে দিলেন আগামীর ২২ গজ শাসন করতে এসেছেন তিনি ।আইপিএলে মুম্বাই ইন্ডিয়া থেকে মাঠে নামেন তিলক। দেশের হয়ে এখনো পর্যন্ত চারটি ওয়ানডে ও ১৮ টি-টোয়েন্টি খেলেছেন। তার ব্যাটিং দেখে উচ্ছ্বাসিত প্রাক্তন ক্রিকেটাররা প্রশংসায় ভরিয়ে দিচ্ছেন । এতদিন বড় রান পাচ্ছিলেন না। এবারে আশ মিটিয়ে নিলেন। সঙ্গে দলকেও টানলেন নিজের কাঁধে। পৌঁছে দিলেন জয়ের দোড়গোড়ায়। সেঞ্চুরি সঙ্গেই এদিন নতুন করে রেকর্ড করলেন তিলক। সবচেয়ে কম বয়সী ব্যাটসম্যান হিসেবে টি-টোয়েন্টির ক্রমতালিকায় প্রথম দশে থাকা কোন দলের বিরুদ্ধে শতরানের রেকর্ড। ২০০২ সালের ১৮ই নভেম্বর জন্ম তিলকের ।বাবা নম্বরী নাগারাজু পেশায় ইলেকট্রিক মিস্ত্রি । মা গায়ত্রী দেবী তিনি নিছকই গৃহবধূ। টানাটানির সংসার,এ সংসারে ছেলেকে ক্রিকেটার বাড়ানোর স্বপ্ন নেহাতি বিলাসিতা। তবে নাগারাজু সেই স্বপ্নটাই দেখেছিলেন ।ব্যাট বলের প্রতি ছেলের তীব্র প্যাশন চাড়িয়ে গিয়েছিল তার মধ্যেও। কোন কার্পণ্য করেননি। একটি সাক্ষাৎকারে নাগারাজু বলেছিলেন, ছোট থেকেই ছেলে ব্যাট বল অন্তপ্রাণ।সব সময় ক্রিকেট আর ক্রিকেট ।খেলার দোকান থেকে একটা প্লাস্টিকের ব্যাট এনে দিয়েছিলাম ।সেটা নিয়েই থাকতো সবসময়। ঘুমানোর সময় বালিশের পাশে রাখত যেন ওটা হাতছাড়া না হয়।”ছেলে সেঞ্চুরিতে খুশি বাবা ।এতদিনে এত পরিশ্রম সার্থক হল। তিলকের ভেতরের সুপ্ত প্রতিভাকে জাগানোর কাজটা করেছিলেন সালাম বায়িশ। তিনি তিলকের ছোটবেলার কোচ। শুধু ক্রিকেট নয় সব রকম ভাবে ভার্মা পরিবারের পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন তিনি। ।তিলকের এক প্রকার দায়িত্বই নিয়েছিলেন সালাম স্যার। নাগার্জুন বলেছেন , সালাম স্যার সব সময় পাশে দাঁড়িয়েছেন খাওয়া হোক বা ক্রিকেটে সরঞ্জাম তিনি বলতেন আমি দেবো। আমাকে বলতেন কোন অসুবিধা হলে বলবেন আমি সবসময় আছি। তিলককে আরো এগিয়ে যেতে হবে। কিন্তু পড়াশোনাটাও করতে হবে ।সালাম স্যার বলেছিলেন, “দেখবেন যেন পড়াশুনায় ফাঁকি না দেয় ।আমাদের আশ্বস্ত করতেনঝ্য সব ঠিক হয়ে যাবে। টাকা পয়সা কোন সমস্যা হবে না। সালাম স্যার তিলকের গডফাদার।” তিলকের উত্থান আইপিএলের হাত ধরেই। ২০২২ সালে১.৭ কোটি টাকায় তাকে দলে নেয় মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। পরের মরসুমে ১১ ম্যাচ খেলে করেন ৩৪৩ রান ,।সেরা ব্যাটসম্যানদের সঙ্গে তার কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই নজরে পড়ে নির্বাচকদের। গতকাল অভিষেক ২৫ বলে ৫০ সঙ্গে ঝরে নিউজ খেলে আউট হন তাকে যোগ্য সংবাদ দিয়ে যান তিলক। অভিষেক সূর্য কুমার এবং হার্দিক পান্ডিয়া আউট হবার পর ম্যাচে কিছুটা মন্থর হয়ে যায়। তিলক ধৈর্য ধরে ইনিংস গড়ে তোলেন । ১৯ ওভারে করেন সেঞ্চুরি
বৃহস্পতিবার রঞ্জি ট্রফি ম্যাচে চার উইকেট দখল করে ইনজুরি থেকে দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তনের পরে অস্ট্রেলিয়ার চ্যালেঞ্জিং সফরে বিপর্যস্ত ভারতীয় দল মহম্মদ শামিকে দেখা...
Read more
Discussion about this post