অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে পুলিশমন্ত্রীর করা হোক বলে দাবি করেছেন তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ূন কবীর। এমনকি অভিষেককে উপ-মুখ্যমন্ত্রী হিসেবেও দেখতে চেয়েছেন। সেই হুমায়ূনের নাম না করে জবাব দিলেন ফিরহাদ হাকিম। তাঁর কথায়,’মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি সরিয়ে জিতে দেখান’। ফিরহাদ বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলিষ্ঠ নেতৃত্ব দিতে সক্ষম এবং দিচ্ছেন। কাউকে এটা নিয়ে মাথা ঘামাতে হবে না। আর অভিষেক? তাঁর কথায়, অভিষেক আমাদের সন্তান। যথা সময়ে দায়িত্ব নেবে। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় সবদিক সামলাতে সক্ষম’। ঘটনাটি ঠিক কী? কসবাকাণ্ডের পর পুলিশের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভে তৃণমূলের অন্দরেই। খাস কলকাতার এই ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে রণং দেহি মেজাজ দেখা গিয়েছে কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমের। পুরমন্ত্রী ফিরহাদ বলেছিলেন, ‘এনাফ ইজ এনাফ। আমাদের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারবার বলেছেন পুলিস য়ে অস্ত্র উদ্ধার কর। আন্তঃরাজ্য অপরাধীদের আটকাও। তারপরেও হা করে বসে থাকা যাবে না। পুলিশকে বলব, একশন নাউ’। তাঁর পথেই হেঁটেছেন দমদমের বর্ষীয়ান সাংসদ সৌগত রায়। তিনি বলেন, “কলকাতার মেয়র পুলিশের ভূমিকার সমালোচনা করেছেন। পুলিশের মাইনে মানুষের করের টাকা থেকে হয়ে থাকে! পুলিশ পুজোর সময় ভালো কাজ করেছে। কিন্তু, কীভাবে কলকাতা শহরে বিহার থেকে নাইনএমএম পিস্তল আসছে ? এটা তো ভাবা দরকার।” এরপর অভিষেক পুলিশমন্ত্রী করার দাবি তোলেন হুমায়ুন কবীর। তৃণমূল বিধায়কের এই মন্তব্যের আজ কড়া জবাব দিয়েছেন দলের অন্যতম শীর্ষ নেতা ফিরহাদ হাকিম৷ হুমায়ুন কবীরের নাম না করলেও তাঁর উদ্দেশেই ফিরহাদ বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখনও বলিষ্ঠ ভাবে নেতৃত্ব দিতে সক্ষম ও তিনি সেভাবেই নেতৃত্ব দিচ্ছেন। একটা-আধটা অপরাধমূলক ঘটনা সারা জীবন ছিল। বুদ্ধবাবু, জ্যোতিবাবু, সিদ্ধার্থশংকর রায়ের সময়ও ছিল। ভারতের নিরাপদ শহর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সময়ে দেশ পেয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সক্ষম। সুতরাং এটা নিয়ে কাউকে মাথা ঘামাতে হবে না।” অভিষেকের প্রশাসনে আনার দাবি নিয়ে প্রশ্ন করা হলে ফিরহাদ বলেন, “আমি অভিষেকের ব্যাপারে বলব না, কারণ সে আমাদের সন্তান। ঠিক টাইমে সে আসবে। আমরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি লাগিয়ে জিতি। যারা বড় বড় কথা বলে, তাদের বলব মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি সরিয়ে একটা ভোট জিতে দেখাও।”
রাজ্যে ২৬ হাজার শিক্ষকের চাকরি বাতিল হওয়ায় রাজ্য জুড়ে আন্দোলন চলছে বিভিন্ন অ়ঞ্চলে। এবার এরই মাঝে বেতন বৃদ্ধির দাবিতে আন্দোলনে...
Read more
Discussion about this post