ঢাকার সায়েন্সল্যাব এলাকায় ঢাকা কলেজ ও সিটি কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। গত বুধবার দুপুর আড়াইটার দিকে শুরু হওয়া এ সংঘর্ষে অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। আহত শিক্ষার্থীদের মধ্যে শাহরিয়ার, নূর হোসেন, তুষার, সিজান, তানিম, দেওয়ান নাঈম, নিরব ও আরাফাতের নাম জানা গেছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে, এদিন সায়েন্সল্যাবে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা একটি বাস ভাঙচুর করলে এর প্রতিবাদ জানায় সিটি কলেজের শিক্ষার্থীরা। এক পর্যায়ে তারা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনা সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে। এরপর বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে পুলিশ কয়েক রাউন্ড টিয়ারশেল ও সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ওই এলাকায় উত্তেজনা অব্যাহত রয়েছে। তবে এ বিষয়ে দুই কলেজ কর্তৃপক্ষের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৯৮ নম্বর ওয়ার্ডের চিকিৎসাধীন আছেন তারা। ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, সকালে ঢাকা কলেজের এক শিক্ষার্থীকে একা পেয়ে সিটি কলেজ শিক্ষার্থীরা মারধর করেন। পরে দুপুরে ঢাকা কলেজের একটি বাসে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে কাচ ভেঙে দেওয়া হয়। ঢাকা কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী জুবায়ের আরেফিন অভিযোগ করেন, বুধবার আনুমানিক দুপুর সোয়া ১২টার দিকে কলেজ থেকে হেঁটে বাসায় ফেরার সময় ধানমন্ডি ১ নম্বর রোডে আনুমানিক ১০-১৫ জন কলেজ ছাত্র দৌড়ে এসে আমার মাথার পেছন দিকে আঘাত করতে শুরু করে। এরপর আমার শার্টের পকেট ছিঁড়ে আইডি কার্ড ছিনিয়ে নেয়। আমি তাদের বলি, ভাই আমি তো কিছুই করিনি, তাহলে কি সমস্যা। তারা বলল, এইটা কলেজে কলেজে মারামারি, তুমি বুঝবে না। ছেলেগুলো কলেজ ড্রেস পরে ছিল কিন্তু গলায় কোনো আইডি কার্ড ছিল না। সাদা শার্ট-কালো প্যান্ট ও ঘাড়ে ব্যাগ ছিল। কিন্তু আশপাশের মানুষের মন্তব্যে বোঝা গেছে তারা সিটি কলেজের ছাত্র। এরপরই বড় ঘোষণা করেছে ঢাকা কলেজ। শিক্ষার্থীদের কোথাও কোনো ধরনের কর্মসূচিতে অংশ না নেওয়ার নির্দেশনা দিয়ে একদিনের জন্য ক্লাস বন্ধ ঘোষণা করেছে ঢাকা কলেজ। রবিবার কলেজ কর্তৃপক্ষ ‘অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি’ এড়াতে সোমবার ক্লাস স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
গত বছর শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর বাংলাদেশের সঙ্গে পাকিস্তানের সম্পর্কের নতুন রসায়ন খুবই মধুর হতে শুরু করেছে। প্রায় ৫০...
Read more
Discussion about this post