ভারতে সফরে আসছেন ডোনাল্ড লু। সাতদিনের সফর সূচি নিয়ে ভারতবর্ষে পা রাখছেন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু। নেপাল এবং শ্রীলঙ্কার পাশাপাশি এদেশেও তিনি সফর করবেন। এখানেই যাবতীয় জ্বল্পনা তৈরি হয়েছে। যেখানে বাংলাদেশের সঙ্গে ডোনাল্ড লু-এর সম্পর্ক অত্যন্ত ভালো, সেখানে বাংলাদেশে না গিয়ে তিনি ভারতে আসছেন, তা আরও জ্বল্পনা উস্কে দিচ্ছে। এমনকি বাংলাদেশের রাজনীতিতে কার্যত তিনি গুরত্বপূর্ণ, সেখানে ট্রাম্প জেতার পর বাংলাদেশে না গিয়ে ভারতে আসছেন।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি বাংলাদেশের পক্ষ থেকে একটি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। বাংলাদেশে মার খাচ্ছে হিন্দুরা, এমতো অবস্থায় পাকিস্তানের জন্য ভিসার নিয়ম সহজ করে দিয়ে বলা যেতে পারে পাকিস্তানীদের জন্য দ্বার খুলছে ইউনূস সরকার। অর্থাৎ ভিসা পাওয়ার ক্ষেত্রে ভেরিফিকশন আরও সহজ, সুযোগ-সুবিধার জন্য বাংলাদেশ দূতাবাস এবং ডেপুটি হাইকমিশনারের কাছে সরকারি নির্দেশিকা চলে গিয়েছে। এটি ভারতের কাছে অত্যন্ত উদ্বেজনক।
অন্যদিকে, সীমান্তে ভারত যে পরিমাণ সেনা বাহিনী নিযুক্ত করেছে, জাতি সংঘে কাশ্মীর পর্যন্ত বলেছে সীমান্ত থেকে যেন ভারতীয় সেনা সরে যায়। গত কয়েক বছর ইতিহাস ঘাঁটলে দেখা যাবে, সীমান্ত এরিয়াকে পাকিস্তান বারবার হাতিয়ার করেছে, যাতে উগ্রপন্থীদের ঢোকানো যায় ভারতে। কিন্তু সম্প্রতি সীমান্তে নিরাপত্তা, সুরক্ষা এতটাই শক্তিশালী করেছে ভারত, তাতে পাকিস্তান সেই সুযোগ পাচ্ছে না। কিন্তু নিজেরে কার্যসিদ্ধির জন্য পরিবর্তিত পথ হিসাবে বাংলাদেশকে ব্যবহার করতে চাইছে পাকিস্তান। তারফলে বাংলাদেশের ভিসা দেওয়ার বিষয়টি যেভাবে বিভিন্ন আন্তজার্তিক সংবাদপত্র এবং গণমাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে, তাতে ভারতের উদ্বেগের একটি বড় কারণ দেশের সুরক্ষা। এখন ভারত সরকার মনে করছে, ভারতবর্ষের বিভিন্ন জায়গায় যে সমস্ত পাকিস্তানিরা আক্রমণ চালানোর ফন্দি এঁটেছেন, ইউনূসের এই ধরণের কার্যকলাপের পর সহজেই বাংলাদেশে ঢুকে যেতে পারবেন। বাংলাদেশে ঢোকার পর সীমান্ত এরিয়া দিয়ে বিভিন্নভাবে ভারতে ঢোকার চেষ্টা করবেন বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও এই রিপোর্ট সামনে আসতেই ভারতের গোয়েন্দা বিভাগ অত্যন্ত সজাগ হয়ে গিয়েছে। তবে এই বিষয়টি ভারত সরকার কোনওভাবেই ভালোভাবে নেয়নি।
এরমধ্যেই আরও উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, পাকিস্তান থেকে বিপুল পরিমাণে অস্ত্র কিনেছে বাংলাদেশ। তবে আন্তজার্তিক মহল মনে করে, বাংলাদেশ-পাকিস্তান আঁতাত করেও ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে উঠতে পারবে না। তবে তারা যেটা পারে, ভারতের সুরক্ষা বিষয়ে খামখেয়ালিপনা করতে। এরমধ্যেই বাংলাদেশ থেকে সেভেন সিস্টার্স নিয়ে হুমকি দেওয়া হয়েছে। গুরত্বপূর্ণ প্রশ্ন এখানেই, বাংলাদেশ নিজের ক্ষমতা জানার পর কীভাবে দিনের পর দিন ভারতকে হুমকি দিতে পারে? গোয়ান্দারা বলছেন, এর পিছনে চীনের একটা বড় সাপোর্ট রয়েছে। অর্থাৎ, বাংলাদেশ, চীন এবং পাকিস্তানের আঁতাত ভারতের একটি মাথা ব্যাথার কারণ। এই প্রেক্ষাপটে দাঁড়িয়ে ডোনাল্ড লু ভারতে আসছেন। মনে করা হচ্ছে দক্ষিণ পূর্ব এশিয়াকে যেভাবে অশান্ত করার চেষ্টা চলছে, সেখানে দঁড়িয়ে ভারত এবং ট্রাম্প চাইবে শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে আনতে। আর এখানে চাপ বাড়তে শুরু করেছে ইউনূসের।
Discussion about this post