বাংলাদেশে সেনাপ্রধান এখন কোন অ্যাকশনে রয়েছেন? তার কার্যকলাপের গতি প্রকৃতি এখন কি? এই নিয়ে নানারকম প্রশ্ন উঠে আসছে। তারমধ্যে বাংলাদেশের অন্দরে চলছে নানা বিষয়। সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার উজ জামান এই মুহূর্তে সেনাবাহিনীকে বাংলাদেশের রাস্তাতে নামিয়েছেন, সেটা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। সক্রিয় ভূমিকায় দেখা যাচ্ছে তাদের। যেকোনও মুহূর্তে অ্যাকশন শুরু হয়ে যেতে পারে।
অনেকে বলছেন, সেনাপ্রধান কিছুটা ভেবেচিন্তে আবার কিছুটা ভয়ে পা ফেলছেন। কিন্তু কার ভয়? কার ভয়ে কাজ করছেন তিনি? এমন নানা প্রশ্ন উঠে আসছে। বাংলাদেশে এই মুহূর্তে জঙ্গি সংগঠনগুলি বেড়ে উঠছে। তাদের বাড়তে দিয়েছেন ইউনূস, বলছেন সেদেশেরই বহু মানুষ। বাংলাদেশে তদারকি সরকার গঠন হওয়ার পর ইউনূস সিংহাসনে বসতেই একের পর এক জঙ্গিকে ছেড়ে দিয়েছেন তিনি। তাই তারা দেশের অন্দরে সংগঠন মজবুত করছেন। এমনকি দেশের রাস্তায় সক্রিয়ভাবে মিছিল করতে দেখা যাচ্ছে তাদের। ইসলামিক খিলাফত গড়ার ডাক দিয়েছিল হিজবুত তাহেরি। আগামীদিনে বাংলাদেশের রাস্তাতে তাদের আরও সক্রিয়ভাবে দেখা গেলে, এবং কার্যকলাপ করলে তখন সামলাতে পারবেন তো অন্তবর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা? এমন নানা বিষয় উঠে আসছে।
এদিকে বাংলাদেশ এখন যে সময়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে, তাতে মনে করা হচ্ছে ফের পালাবদল হতে পারে। তবে আর কোনও নির্দিষ্ট ব্যাক্তির হাতে নয়, ক্ষমতা যেতে পারে দেশের মেরুদণ্ড সেনার হাতে। যদিও পূর্বে একাধিকবার সেনা অভুত্থান হয়েছে বাংলাদেশে। এমনকি হাসিনা সরকারের পতনের পর কয়েকদিন সেনার দখলেই ছিল বঙ্গবন্ধুর দেশ। কিন্তু অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন হওয়ার পর দেশের পরিস্থিতি চরম আকার ধারণ করে। জানি শুধু ভারত নয়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতো শক্তিশালী দেশ ও সরব হয়েছে। ডোনাল্ড ট্রাম্প নিজের নির্বাচনী প্রচারে বাংলাদেশের কথা তুলে ধরছেন। তার জমানার মার্কিন গোয়েন্দা মহাপরিচালক তুলসি গ্যাবার্ড ভারত সফরে এসে নয়া দিল্লিতে বসে বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। আর এরমধ্যেই শেখ হাসিনার দেশে ফার্স নিয়ে জল্পনা শুরি হয়েছে। তিনি নাকি এখন দিল্লিতে নয়, কলকাতাতে রয়েছেন। এমনটাই খবর উঠে আসছে। তবে কি হাসিনার দেশে ফেরা শুধু সময়ের অপেক্ষা?
তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে বাংলাদেশের পরিস্থিতি ক্রমশ খারাপ থেকে খারাপতর হয়েছে। আইন শৃঙ্খলার অবনতি হয়েছে। খুন, ধর্ষণ, ডাকাতির ঘটনা চলছে বাংলাদেশে। যা কোনওভাবে নিয়ন্ত্রণে রাখা যাচ্ছে না। এমনকি পুলিসের সঙ্গে বা আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে বসে আলোচনা করেনি ইউনূসের সরকার। এমন খবর সামনে আসেনি। আর এই পরিস্থিতিতে নির্বাচন অত্যন্ত প্রয়োজন। যাতে স্থায়ী সরকারকে নিয়ে আসা যায়। সেটা কতটা মোহম্মদ ইউনুস চাইছেন, সেটা নিয়ে দ্বিমত রয়েছে। তবে এটা স্পষ্ট হয়েছে, বাংলাদেশের প্রশাসনিক স্তরে সেনাবাহিনী, উপদেষ্টা মন্ডলী এবং ইউনুস বাহিনী….. এমন তিনভাগে বিভক্ত হয়ে যাচ্ছে।
ফলে অত্যন্ত জটিল পর্যায়ে পৌঁছচ্ছে বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি। তার ওপর হাসনাতের ফেসবুক পোস্ট ঘিরে শুরু হয়েছে নানা জল্পনা। হঠাৎ তার এই পোস্টে সেনানিবাসের বৈঠক, সরকারের অন্দরে গোপন কথা, যা সাধারণ মানুষের জানার কথা নয়, সে সমস্ত পুঙ্খানুপুঙ্খ বিবরণ দিয়ে বিস্ফোরক পোস্ট দিয়ে ফেললেন হাসনাত। তবে বক্তব্য একটাই, সেনাপ্রধান উল্টো চাল শুরু করলে, কি করবেন ছাত্র নেতারা?
Discussion about this post