বৃহস্পতিবার ধর্মশালায় অনুষ্ঠিত হয় পাঞ্জাব কিংস বনাম দিল্লি ক্যাপিটালস এর ম্যাচ। কিন্তু হামলার আশঙ্কায় ম্যাচ শেষ করা সম্ভব হয়নি। প্রথম ইনিংসে মাঝপথে পৌঁছে 10.1 ওভার পর খেলা বন্ধ করতে হয়। মাঠ ছাড়তেই বৈঠকে বসে আইপিএল কর্তৃপক্ষ। এমনকি শেষে ধর্মশালা ছাড়লেন পাঞ্জাব ও দিল্লির তারকারা। বৃহস্পতিবার ম্যাচ বাতিল হয়ে যাওয়ার পর টুর্নামেন্ট নিয়ে সংশয় তৈরি হয়। হামলার আশঙ্কাতে এক সপ্তাহের জন্য আইপিএল স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, ঘোষণা করেছে বোর্ড।
‘অপারেশন সিঁদুর’র প্রত্যাঘাত শুরু করে দিয়েছে পাকিস্তান। বৃহস্পতিবার থেকেই গোলাবর্ষণ বাড়িয়েছে তারা। শুধু তাই নয়, ভারতের ১৫ শহরকে টার্গেট করে পাক সেনা। যেমন শ্রীনগর, জলন্ধর, জম্মু, লুধিয়ানা, অমৃতসর, চন্ডিগড়, ভুজ, পাঠানকোট….এই সমস্ত এলাকাতে ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে পাকিস্তান। যদিও খবর পেয়ে তৎপর হয় ভারতীয় সেনা। পাকিস্তানের ছককে নিষ্ক্রিয় করতে মূলত কাজে লাগানো হয় S400 ডিফেন্স সিস্টেম। যার নামকরণ হয় সুদর্শন চক্র। অন্যদিকে ভারতও করাচি, লাহোর, রাওয়ালপিন্ডি সহ ১৬ টি টার্গেট করে ভারতও। ক্ষত বিক্ষত হয় পাকিস্তান। রাত থেকে প্রবল সংঘাত শুরু হয়ে যায় দুই দেশের মাধ্যমে। আর সেই আশঙ্কা থেকেই ধর্মশালায় বন্ধ করে দেওয়া হয় ম্যাচ।
তবে বৃহস্পতিবার ম্যাচ বাতিলের পর দুই দলের খেলোয়াড়রা চূড়ান্ত উদ্বেগের মধ্যে ধর্মশালাতেই আটকে ছিলেন বলে খবর রয়েছে। ধর্মশালার বিমানবন্দর বন্ধ করা হয়েছে। সেই কারণেই শ্রেয়স আইয়ার, মিচেল স্টার্করা আটকে পড়েছিলেন। তবে অবশেষে ধর্মশালা ছাড়লেন তারা। শুধু তাই নয়, পাঞ্জাব কিংস এবং দিল্লি ক্যাপিটালসের ম্যাচ বাতিল হওয়ার পর খেলোয়াড়দের করা নিরাপত্তায় রাখা হয়। এমনকি জানা যায়, দুই দলের খেলোয়াড়দেরই রাখা হয়েছিল একটিই হোটেলে। হোটেলে ফিরিয়ে নিয়ে এসে ঘরবন্দিই রাখা হয় প্রত্যেককে। মাঠ থেকে হোটেলের গোটা পথ পুলিশ নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়। ধর্মশালার কাছাকাছি রেলস্টেশন থেকেই তারকাদের ট্রেনে উঠে দিল্লি ফেরানোর কথা বলা হয়। শেষমেষ সুরক্ষিতভাবে ট্রেনে করে দিল্লি ফিরিয়ে নিয়ে আসা হয় খেলোয়াড়দের। তবে আপাতত এক সপ্তাহ বন্ধ আইপিএল। এখন ভারত পাকিস্তান সংঘাতের আবহে দেখার, শেষমেশ পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়।
Discussion about this post