চক্রান্ত করে হাসিনার সরকারকে ফেলে দেওয়ার পিছনে শুধু মাত্র সাদা চামড়ার লোকেরাই দায়ী নয়। দায়ী আওয়ামীলিগের সেই সব নেতারাও যারা শোষন নিপীড়ন করে বহু টাকার মালিক হয়ে বসেছিল। যাদের মুর্খামির জন্য দেশের সাধারণ মানুষ যারা বঙ্গবন্ধুকে ভালোবাসে বঙ্গবন্ধুর দলকে ভালোবাসে তারা আজ অত্যাচারিত, ঘর ছাড়া অথবা জেলে বন্দী। তাদের পাশে যে সব নেতাদের থাকার দরকার ছিল, তারা এতটাই স্বার্থপর যে দলের বিপদে, সাধারণ কর্মীদের বাঘের মুখে ফেলে, টাকা পয়সা বাগিয়ে ভারতে বসে মজ মস্তি করছে।ভারতের উচিৎ তাদেরকে দেশে পাঠিয়ে দল এবং সাধারণ কর্মীদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য বাধ্য করা। বাংলাদেশের এই অবস্থার জন্য ইউনূস গ্যাং যত না দায়ী তার থেকে বেশী দায়ী ঐ সব নেতামন্ত্রীরা যারা শুধু লুঠ করে সাধারণ মানুষের চোখের সামনে বড় নেতা থেকে বড়লোক হয়ে গেছে। আর আজ তারা দিব্যি ভারতে বসে ভাবছে ভারত কিছু একটা নিশ্চয় করবে। কারণ তারা বোঝে বাংলাদেশ অস্থির থাকলে সব থেকে বেশী মাথা ব্যাথা হবে ভারতের।কিন্তু হাসিনা কখনও ভেবে দেখেছে, দেশের জন্য বহু কাজ করার পরও কেন, দেশের কিছু মানুষ কেন হাসিনার বিপক্ষ্যে চলে গেল। বিদেশের চক্রান্তকে বাস্তবে রূপান্তরিত করতে সাহায্য করল। কেন তারা অতি সহজে ভুল চক্রান্তের শিকার হল। দায়ী হল এই নেতা মন্ত্রীদের লোভ অপশাসন,জোর জুলুম। যার ফলে বিরাট চক্রান্ত অতি সহজে বাস্তবে রূপ পেল। এই চক্রান্তের জাল যে কতদুর বিস্তৃত তা যত দিন যাবে ততই স্পষ্ট হবে।হাসিনা বার বার বলেছেন আবু সইদের মৃত্যু পুলিশের গুলিতে হয়নি। পরে জানা যায় যে ময়নাতদন্ত করা ডাক্তারকে ভয় দেখিয়ে তাদের মত করে রিপোর্ট দিতে বাধ্য করা হয়েছিল।। মনে পড়ে প্রাক্তন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা শাখাবৎ হোসেনের সেই বক্তব্যটি, যে বক্তব্য দেওয়ার কারণে তিনি তার স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদটি হারিয়েছিলেন। কারণ তিনিই তদরকী সরকার গঠনের প্রায় দু-তিন দিনের মধ্যেই জুলাই আন্দোলোনকে প্রশ্নের মুখে ফেলে দিয়েছিলেন। এই প্রশ্ন তুলে যে আন্সার সদস্যরা যারা আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তাদের দেখতে তিনি হাসপাতালে গিয়েছিলেন, সেখান থেকে বেরিয়ে তিনি বলেন যে এই আহত সদস্যদের অনেকেই সাত দশমিক ছয় দুই বোরের গুলিতে আহত হয়েছেন, যেটি শুধু ঐ হাসপাতালের ঘটনা নয় প্রায় সব হাসপাতালেই এই অবস্থা, তাহলে তার প্রশ্ন ছিল সাধারণ মানুষের হাতে এই ধরনের অস্ত্র এল কি করে।।
এবার সেই প্রশ্নের উত্তর অনেকটাই পাওয়া যাচ্ছে। যখন নড়াইলের সোহান মোল্লা নামের এক কলেজ ছাত্রের বাড়ী থেকে যৌথ বাহীনির অভিযানে উন্নত মানের স্নাইপার নাইট্রো রাইফেল উদ্ধার হয়, তখন বোঝা যায় হাসিনা উৎখাতের ষড়যন্ত্রের শিকড় কত গভীরে বিস্তার লাভ করেছিল। এই উদ্ধার কাজ শুধু এই প্রথম নয় এর আগেও হয়েছে। তার জন্যই তো সারজিসরা কবর থেকে দেহ তুলে ময়না তদন্ত করতে দিতে রাজী নয়।।
পাকিস্তানে ইমরানের সঙ্গে যা ঘটেছিল, অর্থাৎ আমেরিকাকে নুরখান এয়ারবেস না দিতে চাওয়ায় ইমরানের গদি গিয়েছিল, বাংলাদেশেও তেমন হাসিনা সেন্টমার্টিন দিতে না চাওয়ায় হাসিনার গদি গেল।যারা বলেন ভারত কেন আমেরিকার কথায় সিজ ফায়ার করতে বাধ্য হল,তাদের কথা বাদ দিন, ভারতের কথা বাদ দিন, গোটা পৃথিবীর কেউ জানতা না যে নূরখান এয়ারবেশ অলরেডি আমেরিকার সৈন্য দ্বারা পরিবেষ্টিত। তাই ২৪ ঘন্টা আগে জেডি ভান্স বলেছিলেন যে এই যুদ্ধে আমাদের কোন হাত থাকবে না। সেই আমেরিকাই ২৪ ঘন্টা পার হওয়ার আগেই ভারতেকে সিজ ফায়ারের জন্য অনুরোধ করে, কারণ ভারতের ব্রম্ভোস নূরখান এয়ায়বেসে আঘাত হেনে ফেলেছিল। আর ভারত জানত না যে ঐ এয়ারবেস আমেরিকার অধিনে আছে।
ভারতের জন্য মুশকিল হল, বাংলাদেশে ভোট এপ্রিলে হলেও সরকার হতে হতে জুন জুলাই মানে আরও এক বছর, এই একবছরে ভারতকে, ভারতের সব রকম প্রতিরক্ষা বিভাগকে অনেক অনেক সাবধানে থাকতে হবে, নাহলে পশ্চিমারা বাংলাদেশকে ব্যবহার করে ভারতের অর্থনীতিকে ধ্বংস করতে যে কোন রকম চক্রান্ত করতে পারে, সঙ্গে চীনের মত অনেক দেশও তাদের সহযোগী হবে।
Discussion about this post