ভারতে মোট ৭,৩৪৯টি রেলস্টেশন রয়েছে। আর ছোট-বড় মিলিয়ে প্রায় সমস্ত রেলস্টশনেই ডিজিটাল ক্লক বা ঘড়ি বসিয়েছে ভারতীয় রেল। আবার অনেক স্টেশনে আছে পুরোনো প্রযুক্তির ঘড়িও। যেমন হাওড়া স্টেশনের বিখ্যাত বড় ঘড়ি। যা আজও হাওড়া স্টেশনে অপেক্ষমান যাত্রীদের মিলন স্থল। এছাড়া মুম্বই সেন্ট্রাল স্টেশনের সেই বিখ্যাত পেন্ডুলাম ঘড়ি। যেটি আজও রেলকর্মীরা চাবি দিয়ে সতেজ রাখেন। কিন্তু প্রশ্ন হল সারা দেশে সমস্ত রেলস্টেশনে লাগানো ডিজিটাল ঘড়িগুলিতে কি একই সময় দেখায়? আর যদি একই সময় দেখায় তাহলে এর পিছনে রহস্যটাই বা কী?
ভারতের রেলস্টশনে লাগানো ঘড়ির সময় অনুযায়ী ট্রেন চলাচল করে। ফলে আপনার হাতের ঘড়ি বা মোবাইল কি সময় দেখাচ্ছে, বা রেলের ঘড়ির সঙ্গে সময় মিলছে কিনা সেটা দেখা হয় না। অর্থাৎ প্ল্যাটফর্মে লাগানো ঘড়ির সময় অনুযায়ীই ট্রেন ছাড়বে। ফলে যাত্রীদের মনে প্রশ্ন জাগতেই পারে, পরের স্টেশনেও কি একই সময় দেখাচ্ছে? যদি না দেখায় তাহলে তো ট্রেন লেট বা অ্যাডভান্স সময়ে ঢুকছে কিনা বোঝা যাবে না।
ভারতীয় রেল জানাচ্ছে, সারা দেশে সাত হাজারের বেশি রেলস্টেশনে লাগানো সমস্ত ডিজিটাল ঘড়ি একসাথে একই সময় প্রদর্শন করে। এর পিছনে রয়েছে রেলের অধীনে থাকা এক সহযোগী সংস্থার কারসাজি। আপনারা যদি কোনও স্টেশনে দাঁড়িয়ে অন্য কোনও স্টেশনে অপেক্ষা করা আপনার পরিচিত কাউকে ঘড়ির সময় জিঞ্জেস করেন, তবে জানতে পারবেন যে ওই স্টেশনেও একই সময় দেখাচ্ছে। এক্কেবারে ঘণ্টা-মিনিট-সেকেন্ডের হিসেব মিলছে কাটায় কাটায়। আসলে এই ডিজিটাল ঘড়িগুলির জন্য সফটওয়ার তৈরি করেছে সেন্টার ফর রেলওয়ে ইনফরমেশন সিস্টেম বা ক্রিস (CRIS)। রেলযাত্রীরা যে ওয়েবসাইট বা অ্যাপের মাধ্যমে রেলের টিকিট কাটা, অনলাইন রিজার্ভেশন এবং ট্রেনের সময়সীমা দেখেন সেই অ্যাপ বা সাইট তৈরি করেছে ক্রিস। এই সংস্থাই রেলের ডিজিটাল ক্লকের জন্য বিশেষ সফটওয়ার তৈরি করেছে। আর দেশের প্রতিটি স্টেশনে লাগানো রেলের ডিজিটাল ঘড়িতে ইনল্টল করা হয় সেই সফটওয়ার। ফলে সারা দেশের সমস্ত রেলস্টেশনের যত ঘড়ি আছে, সবগুলিতেই একই সময় দেখায়।
Discussion about this post