রবিবার প্রায় মধ্যরাতে প্রবল শক্তি নিয়ে ঘুর্ণিঝড় রেমাল পশ্চিমবঙ্গের সাগরদ্বীপ এবং বাংলাদেশের খেপুপাড়ার মধ্যবর্তী স্থলভাগে আছড়ে পড়ে। এরপর তা উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হতে থাকে বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিম দিকের উপকূলবর্তী জেলা মংলার দিকে। এর জেরে রবিবার রাত থেকেই প্রবল ঝড়ের কবলে পড়ে বাংলাদেশের মংলা, সাতক্ষীরা, খুলনা এলাকা। সেই সঙ্গে প্রবল জলচ্ছ্বাস দেখা দেয় বাংলাদেশের বিস্তর্ণ এলাকায়। প্রবল ঝড় এবং অতি ভারী বৃষ্টির জেরে কার্যত বিপর্যস্ত বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের একাধিক জেলা।
বাংলাদেশের আবহাওয়া অধিদফতর সূত্রে জানা যাচ্ছে, সোমবার বিকেল পর্যন্ত ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব থাকবে। এরপর তা ধীরে ধীরে নিম্নচাপে পরিনত হবে। ফলে আগামী দুদিন বৃষ্টি হবে বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের একাধিক জেলায়। রবিবার রাত থেকেই সাতক্ষীরা, খুলনা, পিরোজপুর, পটুয়াখালি, বরগুণা, ভোলা, বাগেরহাট এলাকায় প্রবল ঝোড়ো হাওয়া এবং বৃষ্টি শুরু হয়েছে। সোমবার দুপুরেও তার দাপট কমেনি। রবিবার রাতে ঝড়ের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৯০ থেকে ১১০ কিলোমিটার পর্যন্ত। ফলে ব্যপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে বাংলাদেশের বিভিন্ন নদীতে জলচ্ছ্বাস হয়। বিশেষ করে সুন্দরবন লাগোয়া এলাকাতে জলচ্ছ্বাস ৫ ফুট পর্যন্ত হয়েছে। আবার সাতক্ষীরায় জলচ্ছ্বাস রেকর্ড করা হয়েছে ৭ ফুটের উপরে। ফলে অনেক জায়গায় বাঁধ ভেঙে জল ঢুকেছে গ্রামগুলিতে।
ঘূর্ণিঝড় রেমালের দাপটে বাংলাদেশে এখনও পর্যন্ত ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। পাশাপাশি বাংলাদেশের প্রশাসন সূত্রে জানা যাচ্ছে, ঘূর্ণিঝড় রেমালের দাপটে বিস্তৃর্ণ এলাকায় বিদ্যুতের খুঁটি উপরে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন। প্রায় দেড় কোটি বাড়িতে বিদ্যুৎ নেই রবিবার রাত থেকে। বাংলাদেশের জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বিভাগের কর্মীরা ইতিমধ্যেই উদ্ধারকাজে নেমে পড়েছেন। সেই সঙ্গে দমকল এবং পুলিশ উদ্ধারকাজে হাত লাগিয়েছে।
Discussion about this post